জাকির হোসেন, বিশ্বম্ভরপুর::
সীমান্তবর্তী বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় পাহাড়ী ঢল ও প্রবল বর্ষনের তোড়ে যাদুকাটা নদী তীরবর্তী দক্ষিণ বাদাঘাট ইউপির চিনার টেক হতে বাগগাঁও আব্দুল হকের বাড়ি পযর্ন্ত প্রায় ২ কিলোমিটার এলাকার প্রায় ৪৫০পরিবার নদী ভাঙ্গন ঝূকির মুখে পড়েছে। নদী ভাঙনে ডালার পাড় ও বাগগাঁও দুই গ্রামের এক সময়ের অনেক বিত্তবান পরিবারের ফসলি জমি, বাগান ও ভিটামাটি হারিয়ে ফেলেছে। প্রতি বছর পাহাড়ি ঢলের তোড়ে নদী ভাঙ্গনে বিলীন হয়ে যাচ্ছে শত শত ঘর বাড়ি। নদীর পাড়ের প্রায় ১ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ অবস্থায় দিনাতিপাত করছে। আগামীতে আরো বড় ক্ষতির আশঙ্কায় আছেন এলাকাবাসী।
দক্ষিণ বাদাঘাট ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা জিল্লুর রহমান জানান, ২০০৪ সাল হতে নদী ভাঙ্গন শুরু হয় এই দুই গ্রামে। গত কয়েক বছরে এই দুই গ্রাম নদীর অব্যাহত ভাঙনে আকারে অর্ধেক হয়ে গেছে। নদীর করাল গ্রাসে কিছু বাদ যাচ্ছে না। নদী ভাঙনের ফলে কোটি কোটি টাকার সম্পদ চিরতরে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। আমার বাড়ির সামনে কাঁঠাল ও আমের বাগান ছিল। ২০০৬ সালের বন্যায় নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। বাগগাঁও গ্রামের সবচেয়ে বড় ও পুরাতন মসজিদটি ও নদী ভাঙ্গনে বিলীন হয়ে গেছে বলে তিনি জানান।
জানা গেছে ডালার পাড় গ্রামের আক্তার মিয়া, মুক্তার মিয়া, শুক্কুর আলী, নবিরাজ, আব্দুল আলী, সুলেমান, চাঁন্দু মিয়া, হুসেন আলী, পাষান আলী, মরম আলী, বাগগাঁও গ্রামের সুরুজ আলী, সালা উদ্দিন, ওহাব মিয়া, শামসুদ্দিন, হাফিজ উদ্দিন, হারিছ উদ্দিন, ইসহাক মিয়া, ইউনুছ আলী, বাচ্চু মিয়া, রহমত আলী, আক্তার মিয়া, সালাম, রাজ্জাক মিয়া, আলী নুর, মাফিজ নুর, দেওয়ান আলীর বাড়িসহ প্রায় ৭০ টির বেশি বাড়ি ও পুকুর নদী গর্ভে চিরতরে হারিয়ে গেছে।
ডালার পাড় গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল আলী (৭০) বলেন, বিভিন্ন সময় এমপি ও জনপ্রতিনিধিরা নদীভাঙনে সর্বস্বহারা উদ্বিগ্ন মানুষদের নদী ভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় সরকারি পদক্ষেপ নেয়ার আশ্বাস দিলেও বাস্তবে কোন প্রতিফলন আজ পর্যন্ত ঘটেনি।
নদী ভাঙ্গন থেকে রক্ষা করার জন্য জরুরি ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ের হস্তক্ষেপ কামনা করছে ভাঙ্গন কবলিত এলাকাবাসী।