রাজন চন্দ, তাহিরপুর::
তাহিরপুর খাদ্য গুদামে ধান সংগ্রহের অভিযানে কৃষকের নামে ধান দিচ্ছে ফড়িয়া ব্যাবসায়ীরা। ফলে এ উপজেলার সাধারন কৃষকরা ন্যায্যমূল্যে বর্তমান সরকারের ধান-চাল সংগ্রহের অভিযান হতে কোন ধরনের সুফল পাচ্ছেন না। অপরদিকে এক শ্রেণির ফড়িয়া ব্যাবসায়ীরা কৃষকের নামে দেওয়া বরাদ্দ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা।
উপজেলা খাদ্য গুদাম সুত্রে জানা যায়, চলতি অর্থবছরে তাহিরপুর উপজেলায় ৫০০ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহের বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। যা উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের মধ্যে বণ্ঠন করে প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদেরকে কৃষকদের মধ্যে বণ্ঠন করার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বরাদ্ধকৃত ধান চেয়ারম্যান মেম্বাররা কৃষকদের নাম করে নিজেদের লোকের নামের তালিকা সাজিয়ে ফড়িয়া ব্যাবসায়ীদের নিকট হতে টন প্রতি ২ থেকে ৩ হাজার করে টাকা উৎকোচ নিয়ে বিক্রি করে দিচ্ছেন। এতে প্রকৃত কৃষকরা সরকারের ধান সংগ্রহের অভিযান হতে বঞ্চিত হয়েছেন।
উপজেলার শ্রীপুর দক্ষিন ইউনিয়নের নোয়ানগর গ্রামের কৃষক ও নুরুল হক বলেন, খাদ্যগুদামে আমাদের মত কৃষকদের ধান দেওয়ার কথা থাকলেও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান তার নিজস্ব লোকের নামের তালিকা দিয়েছে। এ ইউনিয়নের কোন প্রকৃত কৃষকই এক ছটাক ধানও দিতে পারে নি।
বালিজুরি ইউনিয়নের দক্ষিনকুল গ্রামের কৃষক দ্বীন মোহাম্মদ জানান, আমার ওয়ার্ডের মেম্বার বাবুল মিয়া ফড়িয়া ব্যাবসায়ীদের সঙ্গে আতাত করে কৃষকের নামে তালিকা সাজিয়েছে। এ ওয়ার্ডের কোন প্রকৃত কৃষকের নাম তালিকায় নেই।
দক্ষিন বড়দল ইউনিয়নের বড়দল গ্রামের কৃষক নেতা সাঞ্জব উস্তার বলেন, এ ইউনিয়নের অনেক কৃষক জানেই না সরকার কৃষকদের কাছ থেকে ন্যায্য মুল্যে ধান সংগ্রহ করছে।
এ বিষয়ে দক্ষিন শ্রীপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বিশ^জিত সরকার বলেন, আমি প্রকৃত কৃষকদের মধ্যেই ধান বন্টন করে দিয়েছি। আমার নামে যদি এ বিষয়ে কেউ অভিযোগ করে থাকে তাহলে সেটি মিথ্যে ও উদ্দেশ্য প্রনোদিত।
তাহিরপুর উপজেলা ভারপ্রাপ্ত খাদ্য গোদাম কর্মকর্তা মনধন চন্দ্র দাস জানান, আমি চেয়ারম্যানদের নামের তালিকা অনুযায়ী ধান সংগ্রহ করছি। এ বিষয়ে যদি কোন অনিয়ম হয়ে থাকে তাহলে সেটা চেয়ারম্যান মেম্বারদের বিষয়।