স্টাফ রিপোর্টার::
সনামগঞ্জ শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে শনিবার সকাল ১১টা থেকে বিভিন্ন বিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষার্থীরা নিরাপদ সড়কের দাবিতে বিক্ষোভ করছে। সংঘবদ্ধ বিক্ষোভের পাশপাশি তারা শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে গাড়ির লাইসেন্স দেখছে। দেখা গেছে পুলিশ, প্রশাসন, সাধারণ নাগরিকসহ বিভিন্ন পেশাজীবীদের মোটর সাইকেল, ব্যাটারিচালিত অটো রিক্সা, প্রাইভেট কার-রোগী বহনকারী যানবাহনসহ সকল যানবাহনের লাইসেন্স ও কাগজপত্র চেক করছে।
পুরাতন বাসস্টেশন, হোসেন বখত চত্বর, আলফাত স্কয়ার, এইচএমপি উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজ, শিল্পকলা একাডেমি, পৌরসভার সামন, উকিলপাড়া পয়েন্টসহ শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন গাড়ির লাইসেন্স চেক করছে। তবে কোন ধরনের গণপরিবহন চলাচল না করায় প্রাইভেট যানবাহনের গাড়িই চেক করছে তারা। শান্তিপূর্ণভাবে এই কর্মসূচি চালালেও যে যানবাহনের কাগজপত্র নেই সেটি আটকে বিক্ষোভ করছে তারা।
দোজা মার্কেটের সামনে প্রশাসনের গাড়ি, পুরাতন বাসস্টেশনে সশস্ত্রবাহিনীর গাড়ি, পিটিআই ভবনের সামনে সদর থানা পুলিশের গাড়িসহ বিভিন্ন পয়েন্টে প্রাইভেট যানবাহনের কাগজপত্র ও লাইসেন্স চেক করছে তারা।
এদিকে যানবাহনের কাগজ চেক করার সময় নিজেরা শিশুুলভ ভঙ্গিতে হাসিটাঠ্রাসহ টিকাটিপ্পনিও দিচ্ছে তারা। কেউ আক্রমণাতœক আচরণ করতে চাইলে অন্য সহপাঠী তাদের শোধরে দিচ্ছে।
তবে নাগরিকরা প্রথমে তাদের এসব কাজের সমর্থন দিলেও এখন অনেকেই এই বিষয়টিকে ভিন্নভাবে দেখে শিক্ষার্থীদের দ্রুত ঘরে ফেরার আহ্বান জানিয়েছেন।
শহরের ব্যবসায়ী ফয়সাল আহমেদের মোটর সাইকেলটি শিক্ষার্থীরা আটকে দেয় এইচএমপি স্কুলের সামনে। তাকে নামিয়ে কাগজপত্র ও লাইসেন্স দেখাতে বলে। এসময় তিনি সঙ্গে কাগজপত্র না থাকায় বিপাকে পড়েন। তবে কয়েকজন পরিচিত শিক্ষার্থী থাকায় তারা তাকে বিদায় দিলে তিনি হাফ ছেড়ে বাঁচেন। ফয়সাল আহমেদ বলেন, এখন শিক্ষার্থীদের আন্দোলন অসহ্য ঠেকছে। আমরা তাদের এখনো সমর্থন করি। তবে এখন যা করছে বাড়াবাড়ি। এতে কিছু দুষ্কৃতিকারী সুযোগ নিচ্ছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। তিনি বলেন, হোসেন বখত চত্বরে দেখলাম শহরের অছাত্ররা তাদের আন্দোলনের গাইডলাইন দিচ্ছে। এটা কিসের আলামত।