সড়ক পরিবহন আইনের মামলা তদন্তে দুর্ঘটনা প্রমাণিত না হলে ৩০২ ধারায় (মৃত্যুদণ্ড) বিচার হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
তিনি বলেছেন, আগের আইনে নেগলেন্সি অব ড্রাইভিং-এর সাজা ছিল ৩ বছর। বর্তমান সড়ক পরিবহন আইনে তা অজামিনযোগ্য ৫ বছর করা হয়েছে। তবে এখানেই শেষ নয়, তদন্তে যদি ভিন্ন তথ্য প্রমাণিত হয়, তবে তা বাংলাদেশ দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় মামলা যোগ্য হবে। এখানে তদন্তকারী কর্মকর্তার তদন্ত প্রতিবেদন ও সাক্ষ্যতেই মামলা ৩০২ ধারায় না ৩০৪ ধারায় বিচার হবে- তা নির্ধারিত হবে।
সোমবার (০৬ আগস্ট) দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের আইনমন্ত্রী একথা জানান।
ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের আনিসুল হক বলেন, নতুন আইনের প্রয়োজন ছিল, স্বাভাবিকভাবেই মানুষের আগ্রহ এই আইনের প্রতি রয়েছে। এছাড়া বিদ্যমান আইন অনেক
পুরনো। সেই সময়ের চেয়ে এখন দেশের সড়ক পরিবহন ব্যবস্থা ও সড়ক ব্যবস্থারও অনেক আধুনিকায়ন এবং উন্নতি হয়েছে। আদালতের রায় ও নির্দেশনাও আছে।
তিনি জানান, আগের আইনে ১৭৭টি ধারা ছিল। বর্তমান আইনে তা ১২৪টি করা হয়েছে ও ১৪টি অধ্যায়ে বিন্যস্ত করা হয়েছে। ড্রাইভিং লাইসেন্স দেওয়ার রেগুলেটরি আনা হয়েছে, যানবাহন চালানো ও সড়ক ব্যববস্থাপনায় যা যা প্রয়োজন সব সংযোজন করা হয়েছে।
আইনমন্ত্রী বলেন, দুর্ঘটনাকে কেবল দুর্ঘটনা বলে চালিয়ে দেওয়া যাবে না। তদন্তে যদি দেখা যায়, ইচ্ছাকৃত ভুল বা সামলানো যেতো অথচ দুর্ঘটনা ঘটেছে, তখনই এই মামলা ৩০২ ধারায় বিচার হবে। মামলার গুরুত্ব ও জনগণের স্বার্থ সংশ্লিষ্টতা অনুযায়ী মামলা প্রয়োজনে দ্রুত বিচার আদালতে নেওয়া হবে। এরই মধ্যে বিমানবন্দর সড়কে দুই কোমলমতি শিশুর মামলা ৩০২ ধারায় দ্রুত বিচার আদালতে নেওয়ার বিষয়ে কথা দিয়েছে সরকার।
‘এই আইন করার ক্ষেত্রে সরকার এ সংক্রান্ত সকল মামলার রায় ও আদালতের রায়কে সর্বোচ্চ আমলে নিয়েছে। যেগুলো নেওয়া সম্ভব হয়নি সেগুলো বিধি করার সময় যোগ করা হবে,’ যোগ করেন আনিসুল হক।
এর আগে সকালে মন্ত্রিসভা বৈঠকে সড়ক দুর্ঘটনায় চালকের অবহেলাজনিত কারণে সর্বোচ্চ পাঁচবছর সাজা ও জরিমানার বিধান রেখে ‘সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮’ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এখন আইনটি পাসের জন্য সংসদের আগামী অধিবেশনে তোলা হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।