জাকির হোসেন:
বর্ষা মৌসুমে যোগাযোগ বিড়ম্বিত হাওরাঞ্চলের বিদ্যালয়ে যেতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় শিক্ষার্থীদের। বিস্তৃত বর্ষায় বিদ্যালয়ে যাওয়ার রাস্তাঘাট ডুবে থাকায় এসময় অভিভাবকরা প্রাথমিক পড়–য়া শিক্ষার্থীদের স্কুলে পাঠাতে চাননা। এ কারণে বিদ্যালয়ে উপস্থিতিও অনেকটা কমে যায়। সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি শামস শামীমের তথ্য ও ছবিতে
‘বর্ষায় পাও হেমন্তে নাও’ হাওরাঞ্চলের দুর্গম যোগাযোগ নিয়ে রচিত চিরন্তন এই প্রবাদ এখনো হাওরের অবকাঠামো উন্নয়ন বিশেষ করে যোগাযোগ বিড়ম্বিত বিষয়ের প্রতিনিধিত্ব করে। বর্ষায় চারধার ডুবে থাকায় হাওর জনপদের রাস্তাঘাটও ডুবে যায়। বছরের ৩-৪ চার মাস এ কারণে নৌকায়ই যাতায়াত করতে হয় সাধারণ মানুষকে। এসময়ে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়ে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পড়–য়া শিক্ষার্থীরা। অধিকাংশ বিদ্যালয়ের সরাসরি সড়ক যোগাযোগ নেই। সুনামগঞ্জের বিশ^ম্ভরপুর,তাহিরপুর, ধর্মপাশা, জামালগঞ্জ, জগন্নাথপুর, দিরাই শাল্লাসহ হাওর উপজেলা গুলো তখন সাগরে রূপ নেয়। দিন একটু খারাপ হলেই অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের বিদ্যালয়ে পাঠাতে চাননা। দুর্গম ও বিস্তৃত হাওরে ঝড় এলে বড় দুর্ঘটনার আশঙ্কায় এ সময় বিদ্যালয়ে যেতে শিক্ষার্থীরাও ভয় পায়। এসময় পায়ে হাটার পথ পানির নিচে থাকায় অনেক অভিভাবক প্রতিকুলতা উপক্ষো করে তাদের সন্তানদের নৌকা দিয়ে বিদ্যালয়ে পৌছে দেন। তাছাড়া অনেক শিক্ষার্থীর পরিবারের নৌকা না থাকায় তারা স্কুলে যেতে পারেনা।
শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শিক্ষকরাও এই সময়ে যাতায়াত নিয়ে সমস্যায় পড়েন। তাই এই দুর্ভোগ থেকে রক্ষায় সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
হাওরাঞ্চলের এসব সমস্যার কথা মাথায় রেখে বিদ্যালয়ে আসা যাওয়ার জন্য নৌকা তৈরি করে দেয়ার জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের বলেছেন জেলা প্রশাসক মো. সাবিরুল ইসলাম। এই কাজ বাস্তবায়ন হলে বর্ষায় শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে সহজে যেতে পারবে । এতে ঝড়েপড়ার হারও কমবে বলে মনে করেন তিনি।