আকবর হোসেন::
সুনামগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতন বলেছেন, খন্দকার মোস্তাকের বংশধররা এখনো ষড়যন্রে লিপ্ত। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর পিতা শেখ লুৎফর রহমানের দেহ নামাতে যে লোকটি কবরে নেমেছিল তার নাম খন্দকার মোশতাক। শেখ কামালের বিয়ের উকিল বাপের নামও খন্দকার মোশতাক। বঙ্গবন্ধুর মাতার মৃত্যুতে যে লোকটি মাটিতে শুয়ে কান্নায় গড়াগড়িড় করেছিল তার নাম খন্দকার মোশতাক। সবাই সোনার নৌকা উপহার দিলেও বঙ্গবন্ধুকে সোনার বটগাছ উপহার দিয়েছিল খন্দকার মোশতাক; কারণ বঙ্গবন্ধু তার কাছে বটগাছের মত। ১৪ই আগস্ট দুপুরে যে লোকটি বাসা থেকে তরকারী রান্না করে নিয়ে গিয়ে বঙ্গবন্ধুকে খাইয়েছিলো তারও নাম খন্দকার মোশতাক। বঙ্গবন্ধু কে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ১৫ আগষ্ট স্বপরিবারে খুন করেছিল তার নাম খন্দকার মোশতাক। তাই অতি উৎসাহী সুবিধাবাদী আওয়ামী লীগারের বিরুদ্ধে সচেতন থাকতে হবে। এরা খন্দকার মোশতাকের মতো দলের ক্ষতি করতে চায়।
এমপি আরো আরো বলেন, বেঈমান যারা তারা এমনি করে বিশ্বাস অর্জন করে এবং উপযুক্ত সময়ে চরম আকারে আঘাত করেনক্ষমতা দখলের জন্য। তাদের থেকে আওয়ামী লীগকে সাবধান থাকতে হবে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে বাংলাদেশকে ধ্বংস করতে চেয়েছিলো খন্দকার মোস্তাকরা, কিন্তু পারেনি। বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে ধারণ করে আওয়ামী লীগকে আবার পুনরজ্জীবিত করেছে লক্ষ কোটি তৃণমূল নেতৃবৃন্দ।
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে জামালগঞ্জ উপজেলা আ.লীগ আয়োজিত শোক দিবসের আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তবে এসব কথা বলেন তিনি। বুধবার দুপুরে জামালগঞ্জ উপজেলা আ.লীগের দলীয় কার্যালয়ে উপজেলা আ. লীগ সভাপতি হাজী মোহাম্মদ আলীর সভাপতিত্বে ও সাধারন সম্পাদক এম নবী হোসেনের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো শামীম আল ইমরান, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ইউসুফ আল আজাদ, উপজেলা আ.লীগের সহ-সভাপতি আব্দুল মুকিত চৌধিরী, তথ্য সম্পাদক জহিরুল হক তালুকদার, থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল হাশেম, দলীয় নেতা আসাদ আল আজাদ, সায়েম পাঠান, এড নাসির আফিন্দি, আবুল আজাদ, আবুল কালাম, আবুল খয়ের, নুরুল আমিন, ইকবাল আল আজাদ, অঞ্জন পুরকায়স্থ, শাহানা বেগম প্রমুখ।