অনলাইন ডেক্স::
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যায় নেপথ্য ষড়যন্ত্রকারীদের বের করতে একটি কমিশন গঠনের প্রয়োজনীয়তার কথা জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আজ শনিবার অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচির উদ্বোধনী পর্বে তিনি এ কথা বলেন।
বঙ্গবন্ধু হত্যার নেপথ্যে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানসহ অনেকের নাম বিভিন্ন সময় গণমাধ্যমের আলোচনায় এসেছে, এসব নেপথ্য ষড়যন্ত্রকারীর মরণোত্তর বিচার হবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ‘প্রথম কথা, যদি কেউ মারা যান, ফৌজদারি আইনে তাঁর কিন্তু আর বিচার করা যায় না, সেটা সম্ভব না। তাঁর জড়িত থাকার কথা যদি প্রমাণিত হয়, তবে জনগণ তাঁকে ঘৃণার চোখেই দেখবে।’
নেপথ্যে জড়িত ব্যক্তিদের বের করতে কমিশন করার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে আনিসুল হক বলেন, ‘যাঁরা এর নেপথ্যে ছিলেন, ইতিহাসের কারণেই কিন্তু সেটা খুঁজে বের করা দরকার। আমরা চিন্তাভাবনা করছি তাঁদের খুঁজে বের করতে কোনো কমিশন গঠন করার কথা।’
বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার রায়ের প্রসঙ্গ টেনে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের মাধ্যমে যাঁরা সরাসরি এর সঙ্গে জড়িত ছিলেন, যাঁরা ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত ছিলেন, তাঁদের বিচারের আওতায় আনতে পেরেছি। তাঁদের সাজা দিতে পেরেছি। খুনি মোশতাক যদি বেঁচে থাকত, তার যদি বিচার করা যেত, মাহবুবুল আলম চাষীর যদি বিচার করা যেত, এখন পলাতক রশীদকে যদি বের করা যায়, তাহলে এর নেপথ্যে আরও কারা আছেন, তা বের করা যাবে। যাঁরা হত্যা মামলার সঙ্গে জড়িত নন, কিন্তু বাইরের ষড়যন্ত্রে সঙ্গে জড়িত, সে ক্ষেত্রে আমরা হয়তো অনেক তথ্য পেতাম। …আমার মনে হয়, এখন কমিশন করে অন্তত ইতিহাসের জন্য এ জিনিসটা করা উচিত।’
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার বিচারপ্রক্রিয়া প্রশ্নে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ‘এ হত্যার বিচারকাজ শেষ পর্যায়ে আছে। আমার বিশ্বাস যে আগামী কিছুদিনের মধ্যে এই মামলায় রায় হবে।’ ওই মামলায় পলাতক আসামিদের খুঁজে বের করতে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি এ ব্যাপারে শুধু বলব, আমরা তাদের ফিরিয়ে আনার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি।’