অনলাইন::
সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে অভিমান করে মহাসচিব পদে থেকে সরি দাঁড়াচ্ছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। দলীয় ভঙ্গুর অবস্থা, শারীরিক অক্ষমতা, তারেক রহমানের অসদাচরণে বিরক্ত হয়ে মূলত পদ থেকে সরে যাওয়ার চিন্তা-ভাবনা করছেন মির্জা ফখরুল। তবে সূত্র বলছে, আগামী জাতীয় নির্বাচনে ড. কামাল হোসেনদের জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার ব্যানারে নির্বাচন করতে এবং নির্বাচনের পূর্বে নিজের দাম বুঝাতেই তিনি পদত্যাগের নাটক সাজাচ্ছেন।
বিএনপির নয়াপল্টন পার্টি অফিস সূত্রে জানা যায়, বিএনপির সাম্প্রতিক শামুকগতির রাজনীতি নিয়ে মোটেও সন্তুষ্ট নন মির্জা ফখরুল। রাজনীতি হবে রাজপথে। ক্ষমতাসীন সরকারকে নিজেদের যৌক্তিক দাবির বিষয়গুলোতে আন্দোলন করে আদায় করার পক্ষে তিনি। কিন্তু বেগম জিয়া এবং তারেক রহমান যে যার মত করে নির্দেশনা দিয়ে বিএনপিকে দ্বিধান্বিত করছেন। একজন আলোচনার পক্ষে, আরেকজন সহিংসতা-প্রতিশোধ নেওয়ার পক্ষে। রাজনৈতিক কোন আদর্শই আজকাল মির্জা ফখরুলকে আলোড়িত করছে না। বিএনপি রাজনীতিতে দেশ ও জাতি বিরোধী ষড়যন্ত্রের আভাস পাচ্ছেন তিনি।
এছাড়া বিগত সময়ে খালেদা জিয়া, তারেক রহমান ও জামায়াত নেতাদের দুর্নীতি, লুটপাট ও দেশ বিক্রির রাজনীতি প্রত্যক্ষ করে ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন তিনি। একজন জেলে থেকে এবং আরেকজন বিদেশে পালিয়ে থেকেও বাংলাদেশকে ধ্বংস করার চিন্তা বাদ দিতে পারছেন না।
এছাড়া আগামী নির্বাচনে অংশ নিয়ে সংসদে ফেরারও চিন্তা ঘুরপাক খাচ্ছে মির্জা ফখরুলের মাথায়। শেষ বয়সে এসে রাজনীতির ফায়দা লুফে নেওয়ার বাসনাও কাজ করছে তার মনে। এছাড়া তিনি নিজেও এক সময় বাম রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। বিএনপি-জামায়াতের ধ্বংস্বাত্মক রাজনীতি তিনি মনে মনে ঘৃণা করেন। এসব কারণে গোপনে ড. কামাল হোসেন, বি. চৌধুরীর সাথে দীর্ঘদিন যোগাযোগ রেখেছেন তিনি। দুই বয়োজ্যেষ্ঠ নেতা মির্জা ফখরুলকে আগামী নির্বাচনে অর্থ সহায়তা এবং জয়ী হলে সরকারের সাথে সমঝোতা করে গুরুত্বপূর্ণ পদ পাইয়ে দেওয়ার প্রলোভনও দেখিয়েছেন।
এছড়া তারেক রহমানের ক্রমাগত দুর্ব্যবহার, অসম্মানসূচক সম্মোধনে তিক্ত হয়ে পড়েছেন মির্জা ফখরুল। এক জন মেট্রিক ফেল এবং আরেকজন ইন্টার পাশ নেতার সাথে কাজ করতে আর রাজি নন তিনি। অশিক্ষিত নেতৃত্ব কখনই দেশের মঙ্গল করতে পারে না সেটি বুঝতে পেরেছেন মির্জা ফখরুল।
এই বিষয়ে বিএনপির একজন সিনিয়র নেতা বলেন, দলে দিন দিন গ্রহণযোগ্যতা হারানোর কারণে মূলত দল বদলের এই নাটক করছেন মির্জা ফখরুল। তার মত বেইমানদের কারণে বিএনপি ডুবে যাচ্ছে। সামান্য কয়টা টাকা আর পদের লোভে দল ছাড়তেও দ্বিধাবোধ করছেন না মির্জা সাহেব। শেষ বয়সে লোভে পড়ে জাতির কাছে অপমানিত হবেন তিনি।
তাকে প্রকাশ্যে প্রতিরোধ করা উচিত বলেও মনে করেন তিনি।