বিশেষ প্রতিনিধি: দক্ষিণ সুনামগঞ্জ
দক্ষিণ সুনামগঞ্জের পূর্ব পাগলায় ইউপি সদস্যদের মাঝে বাক্বিত-া হয়েছে। পরিষদের ৭ নং ওয়ার্ডের সদস্য চাল এবং রাস্তার জন্য বরাদ্দকৃত টাকা আত্মসাৎ মামলার ২ নং আসামী আজির উদ্দিন ও ৩ নং ওয়ার্ড, ৮নং ওয়ার্ডের সদস্য যথাক্রমে আবদাল হোসেন, ইয়াহিয়া আহমদ সুমনের মাঝে এ বাক্বিত-া হয়। মঙ্গলবার দুপুর ১টায় ইউনিয়ন পরিষদ সচিব মো. শামীম আহমদ পরিষদের সদস্যদের মাঝে এক সভার আহ্বান করেন। এ সভায় বাক্বিত-ায় লিপ্ত হন তারা।
জানা যায়, বিভিন্ন সময় চাল আত্মসাৎ, রাস্তা নির্মানের বরাদ্দের টাকা আত্মসাৎ প্রভৃতি বিষয়ের কারণে সুনামগঞ্জ স্পেশাল জজ আদালতে মামলা দায়ের করেন স্থানীয় কেতকী রঞ্জন দাশ। এ মামলায় ২নং আসামী ৭ নং ওয়ার্ডের সদস্য আজির উদ্দিন।
মঙ্গলবার দুপুরে সচিব সভা আহ্বান করলে সঠিক সময়ে পরিষদে এসে পৌঁছান আবদাল হোসেন ও ইয়াহিয়া আহমদ সুমন। সভা শুরু হতে দেড়ি হওয়ায় তারা সচিবকে গুরুত্বপূর্ণ কাজ আছে বলে চলে যেতে চাইলে ক্ষেপে যান ৭ নং ওয়ার্ডের সদস্য আজির উদ্দিন।
আবদাল হোসেন ও ইয়াহিয়া আহমদ সুমন বলেন, ‘আমরা সচিব শামীম আহমদের ডাকে যথাসময়ে পরিষদে গিয়েছি। কিন্তু ঘন্টা সময় পরেও সভা শুরু না হওয়ায় আমাদের জরুরি কাজ থাকায় সচিকে বলে আসতে চাইলে আমাদের সাথে বাক্বিত-া শুরু করেন আজির উদ্দিন। আমরা ইউনিয়ন পরিষদেও যেতে পারবো না বলে হুমকি দেন তিনি।’
তবে সব কিছু অস্বীকার করেন ৭ নং ওয়ার্ডের সদস্য আজির উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘আমি কোনো কিছু জানিও কোনো অনিয়মের ব্যপারে। এখন মামলায় আমি আসামী। দোষ করলে চেয়ারম্যান করছেন আমি কিছু জানি না।
ইউনিয়ন পষিদের ৫ নং ওয়ার্ডের সদস্য মহিম উদ্দিন সাদিক ও ১, ২ ও ৩ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত আসনের মহিলা সদস্য কুহিনূর বেগম বলেন, ‘কথা কাটাকাটি হয়েছে এটা ঠিক। কিন্তু এটাতো বড় কিছু না।’ কুহিনূর বেগম আরো বলেন, ‘আমি আজির উদ্দিন সাহেবকে বলেছি, তাদের কাজ থাকতে পারে। আপনি এতে রাগ করছেন কেনো।’
ইউনিয়ন পরিষদের ইউআইসির উদ্যোক্তা ওবায়দুল হক মিলনও বাক্বিত- হয়েছে বলে স্বীকার করেন।
ইউনিয়ন পরিষদের সচিব শামীম আহমদ বলেন, ‘কথা কাটাকাটি হয়েছে ঠিক। তবে, তেমন কিছু হয়নি। আমরা উভয় পক্ষকে বুঝিয়েছি।’