দিরাই প্রতিনিধি::
সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষীকি উপলক্ষে আয়োজিত র্যালিতে বাধা, গুলি, লাঠিচার্জ ও ৭জনকে আটক করেছে দিরাই থানা পুলিশ। শনিবার বেলা ১২টায় বিএনপির একাংশ (যুক্তরাজ্য বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক) এ্যডভোকেট তাহির রায়হান চৌধুরী পাবেল অনুসারী দিরাই উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক হুমায়ূন কবীর তালুকদার ও পৌর যুবদলের আহ্বায়ক রিপন হাসান চৌধুরীর নেতৃত্বে তাদের দলীয় কার্যালয় থেকে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে একটি র্যালি বের করে। র্যালিটি বাজার ব্রীজে আসলে দিরাই থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তফা কামালের নেতৃত্বে একদল পুলিশ মিছিলে বাধা দেয়। এসময় নেতাকর্মীরা পুলিশের সাথে তর্কেজড়িয়ে গেলে পুলিশ লাঠিচার্জ শুরুকরে, এক পর্যায়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে দুই রাউন্ড গুলি ছুড়ে পুলিশ। সেখান থেকে যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবকদলের ৭নেতাকর্মীকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। আটককৃতরা হল পৌর সদরের ঘাগটিয়া গ্রামের মৃত আব্দুর রহিমের পুত্র আব্দুল ওয়াহাব (২৩), উপজেলার কুলঞ্জ ইউনিয়নের ধাইপুর গ্রামের মৃত তাজুল ইসলামের পুত্র এনামুল হক (২৫), একই গ্রামের নুর ইসলামের পুত্র আরজ আলী (২৫), রফিনগর ইউনিয়নের রফিনগর গ্রামের আতাউর রহমানের পুত্র তোফায়েল আহমদ(২৮), তাড়ল ইউনিয়নের তাড়ল গ্রামের মৃত আখলুক চৌধুরীর ছেলে উপজেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু হাসান চৌধুরী সাজু (২৫), একই ইউনিয়নের ধল চানপুর গ্রামের সিজিল মিয়ার পুত্র রেজাউল করিম রিজু(২৫), জগদল ইউনিয়নের মাতারগাও গ্রামের ইসরাক মিয়ার পুত্র সৌরভ আলী (২৫)। দিরাই থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তফা কামাল জানান, কোন ধরনের অনুমতি ছারাই তারা দলবদ্ধ হয়ে শহরে মিছিল করছিল, আমরা মনে করেছি তারা নাশকতা করতে পারে তাই তাদেরকে নিষেধ করেছি। কিন্তু তারা পুলিশের সাথে খারাপ ব্যবহার করে। পুলিশ জনগণের জান মালের নিরাপত্তা নিশ্চিত ও পরিবেশ স্বাভাবিক রাখতে দুই রাউন্ড শর্টগানের ফাকা গুলি ছুড়েছে। সেখান থেকে ৭জনকে আটক করা হয়েছে।
যুবদল আহ্বায়ক হুমায়ূন কবীর তালুকদার বলেন, কেন্দ্রীয় কর্মসুচির অংশ হিসেবে আমরা এখানে শান্তিপূর্ণ র্যালি করছিলাম। কিন্তু কোন কারণ ছাড়াই অত্যন্ত নিন্দনিয়ভাবে পুলিশ আমাদের মিছিলে বেদরক লাঠিচার্জ ও গুলি ছুড়েছে। এতে আমাদের অনেক নেতা কর্মী আহত হয়েছে।