অনলাইন ডেস্ক ::
ছবি ও জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি ছাড়াই এখন কেনা যাবে মোবাইল ফোনের সিম। গ্রাহকদের জন্য ই-নিবন্ধন বা ইলেকট্রনিক রেজিস্ট্রেশন সেবা নিয়ে এসেছে অপারেটরগুলো।
ফলে এখন কেউ নতুন সিম কিনতে চাইলে শুধু নাম, আইডি নম্বর, জন্মতারিখ, বর্তমান ঠিকানা ও আঙুলের ছাপ দিলেই চলবে। গ্রাহককে গ্রাহক আবেদনপত্রও (এসএএফ) পূরণ করতে হবে না।
অপারেটরগুলো বলছে, এই প্রক্রিয়ায় গ্রাহকদের ব্যক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তা আরও জোরদার হবে। দেশে ডিজিটাল উপায়ে বা ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন ১ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু করার নির্দেশ দেয় টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি। সেই নির্দেশনা অনুসারে কাগজবিহীন সিম নিবন্ধন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে গ্রামীণফোন ও বাংলালিংক জানিয়েছে।
গ্রামীণফোনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মঙ্গলবার গুলশানের জিপি লাউঞ্জে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই ব্যবস্থাটি গণমাধ্যমের কাছে তুলে ধরা হয়।
বিটিআরসির মহাপরিচালক (সিস্টেমস অ্যান্ড সার্ভিসেস) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শাহরিয়ার আহমেদ এই অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন । গ্রামীণফোনের ডেপুটি সিইও ও সিএমও ইয়াসির আজমান এবং সিসিএও মাহমুদ হোসেন এসময় উপস্থিত ছিলেন।
ইয়াসির আজমান বলেন, “এই উদ্যোগ একটি নির্দিষ্ট ব্যবস্থার মাধ্যমে আমাদের গ্রাহকদের জীবনকে সহজ করার পাশাপাশি, টেলিযোগাযোগ ইকোসিস্টেমের ডিজিটালকরণকে আরেও সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবে। তাছাড়া, দীর্ঘমেয়াদে এটা পরিবেশ সংরক্ষণেও ইতিবাচক অবদান রাখবে।”অনুষ্ঠানে জানানো হয়, প্রাথমিকভাবে ই-নিবন্ধন প্রক্রিয়া শুধু নতুন সিম বিক্রির ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হবে। ধীরে ধীরে এ প্রক্রিয়া মালিকানা হস্তান্তরসহ (গ্রাহক ও করপোরেট), দ্বৈত দাবি, মৃত্যুর মামলা নিষ্পত্তি, এমএনপি এবং ঠিকানা পরিবর্তন প্রভৃতি ক্ষেত্রেও কার্যকর হবে।
এ সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াই গ্রাহক সম্পন্ন করতে পারবেন সম্পূর্ণ বিনামূল্যে। তবে, নতুন সংযোগের দাম কিংবা প্রাসঙ্গিক সার্ভিস চার্জ প্রযোজ্য হবে। কোনো বায়োমেট্রিক তথ্য যেমন জন্ম তারিখ বা আঙুলের ছাপ, এনআইডি/স্মার্ট কার্ডের সঙ্গে না মিললে সিম সক্রিয় হবে না এবং নিবন্ধনও সম্পন্ন হবে না।
সোমবার থেকে সারা দেশে ইলেকট্রনিক ও কাগজবিহীন সিম নিবন্ধন ব্যবস্থা চালু করার কথা জানিয়েছে বাংলালিংক।
বাংলালিংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এরিক অস বলেন, “বাংলালিংক সরকারের ইলেকট্রনিক ও কাগজবিহীন সিম রেজিস্ট্রেশন ব্যবস্থা চালু করার উদ্যোগকে স্বাগত জানায়। এই উদ্যোগ মোবাইল গ্রাহকদের রেজিস্ট্রেশন ব্যবস্থা আরও সহজ করবে ও গ্রাহকদের ব্যক্তিগত তথ্যের সুরক্ষার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।”