মুহাম্মদ হাবীবু্ল্লাহ হেলালী::
জাতাীয়পার্টির জেলা সম্মেলন কে ঘিরে পদপদবী পেতে নেতাকর্মীদের দৌড়ঝাঁপ শুরু হয়েছে। দীর্ঘদিন পরে দলটির জেলায় সাবেক রাষ্ট্রপতি ও পার্টির চেয়ারম্যান আলহাজ্ব হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদের সফর উপলক্ষে তৃণমূল নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা লক্ষ্য করা গেছে। কে হচ্ছেন জেলা সভাপতি ও সেক্রেটারী এনিয়ে সর্বত্র চলছে এখন মাতামাতি। সম্মেলন সফর করতে বুধবার জেলা জাপা’র প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলা জাপা’র আহবায়ক ও সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট পীর ফজলুর রহমান মিছবাহ এর সভাপতিত্বে সম্মেলন প্রস্তুতি সভায় জেলা ও উপজেলার দায়িত্বশীল নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
জেলা জাপা’র একটি দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে, আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর সুনামগঞ্জ জেলা জাতীয়পার্টির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন পার্টির চেয়ারম্যান আলহাজ্ব হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদ। দীর্ঘদিন পরে দলটির জেলা সম্মেলন কে ঘিরে নানা সুরগোল শুরু হয়েছে তৃণমুল নেতাকর্মীদের মধ্যে। তবে ২০১৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর থেকে জেলা জাতীয়পার্টি নয়া মেরুকরণের সৃষ্টি হয়। সুনামগঞ্জ-৪ (সদর-বিশ্বম্ভরপুর) আসনে জোটগত ভাবে অ্যাডভোকেট পীর ফজলুর রহমান মিছবাহ সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর তাঁরই নেতৃত্বে দলের হাই কমান্ডের নির্দেশনায় ২০১৫ সালে পুর্নাঙ্গ জেলা কমিটি ভেঙ্গে দিয়ে আহবায়ক কমিটি গঠিত হয়। এর আগ পর্যন্ত জেলা জাপা’র সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ মাস্টার ও সাধারণ সম্পাাদকের দায়িত্বপালন করেন আন,ন,ম অহিদ কনা মিয়া। কেন্দ্রের নির্দেশনায় মুল কমিটি ভেঙ্গে অ্যাডভোকেট পীর ফজলুর রহমান মিছবাহ কে আহবায়ক করে কমিটি গঠিত হওয়ার থেকে দলটির প্রকাশ্যে কোনো কোন্দল ও দ্বন্দ্ব দেখা না গেলেও মূলত অভ্যন্তরীণ বিভাজন থেকেই যায়। বর্তমান আহবায়ক পীর ফজলুর রহমান মিছবাহ এমপি ও সাবেক জেলা সভাপতি আব্দুল মজিদ মাস্টারের নেতৃত্বাধীন দুটি বলয় জেলায় জাপা’র সাংগঠনিক কর্মকান্ড অব্যাহত থাকে। এর মধ্যে একাধিকবার জেলায় পুর্নাঙ্গ কমিটি গঠনের লক্ষ্যে সম্মেলনের তোড় জোড় দেখা গেলেও কার্যত জাতীয়পার্টির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়নি। মূল দলের জেলা সম্মেলন না হওয়ায় এবং নানা কারণে দীর্ঘদিন ধরেই খুঁড়িয়ে চলছে জাপা’র অঙ্গসংগঠন সমুহও।
উলে¬খ্য, সাবেক মন্ত্রী ও জাতীয়পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রয়াত মেজর (অব.) ইকবাল হুসেইন থাকালীন জেলা জাতীয়পার্টির সভাপতি ছিলেন মরহুম অ্যাডভোকেট আব্দুছ সামাদ পিপি ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বপালন করেন অ্যাডভোকেট জহুর আলী। তৎপরর্তী সময়ে মেজর ইকবাল মৃত্যুবরণ করলে দলের হাল ধরেন তাঁরই স্ত্রী জাপা’র সাবেক সংসদ সদস্য বেগম মমতাজ ইকবাল। তিনি আমৃত্যু জেলা জাপা’র সভাপতি ছিলেন। সাধারণ সম্পাদক ছিলেন আবু নছর অহিদ কনা মিয়া। ২০০৯ সালে বেগম মমতাজ ইকবাল মৃত্যু বরণ করলে পার্টির হাই কমান্ডের নির্দেশে সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল মজিদ মাস্টার পুর্নাঙ্গ কমিটির সভাপতি হন। এসময়ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বপালন করেন আ,ন,ম অহিদ কনা মিয়া।
জেলা পর্যায়ের দায়িত্বশীলদের মধ্যে অনেকেই বলছেন, জেলা কমিটির নতুন পুর্ণাঙ্গ কমিটি নিয়ে এ মুহুর্তে পরিস্কার কিছুই বলা যাচ্ছেনা। তবে আজকের সম্মেলন প্রস্তুতি সভা শেষে বিস্তারিত বলা যাবে।