বিশেষ প্রতিনিধি ::
মরে পচে যাওয়া বিশালাকৃতির হাতিটিকে অবশেষে কবর দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা ফরেস্ট অফিসার ও প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নেতৃত্বে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার শান্তিপুর এলাকায় হাওরের জাঙ্গালের পাশে হাতিটিকে কবর দেওয়া হয়। এসময় হাতিটিকে দেখার জন্য জড়ো হন এলাকাবাসী।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, প্রায় সপ্তাহ খানেক আগে সুনামগঞ্জে টানা বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢল হয়েছে। এসময় মেঘালয় পাহাড় থেকে একটি বিশালাকৃতির মৃত হাতি সীমান্ত নদী হয়ে সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের শান্তিপুর হাওরে এসে লাগে। গত ১৭ সেপ্টেম্বর এ বিষয়টি অবগত হয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান রনজিত চৌধুরী রাজন মৃত হাতিটি বিষয়ে খবর দেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ও উপজেলা ফরেস্ট অফিসারকে। ওই দিনই তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে মরে পচে যাওয়া হাতিটি দেখে আসেন। লোক নিয়ে গেলেও বিশালাকৃতির হাতিটিকে উল্টে পাল্টে দেখতে পারেননি সংশ্লিষ্টরা।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা ফরেস্ট অফিসার বীরেন্দ্র কিশোর রায়ের নেতৃত্বে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান রনজিত চৌধুরী রাজন প্রায় ২৫-৩০জন শ্রমিক নিয়ে যান। দীর্ঘক্ষণ পরে হাতিটিকে টেনে জাঙ্গালের পাশে নিয়ে আসেন শ্রমিকরা। পরে ১৫-২০জন শ্রমিক অনেক কষ্ট করে একটি গর্ত করে হাতিটিকে কবর দেন। এসময় এলাকার মানুষও জড়ো হন। এলাকাবাসী ও স্থানীয় প্রশাসনের ধারণা প্রায় এক সপ্তাহ আগের পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টির সময় পার্শ্ববর্তী ভারতের মেঘালয় পাহাড় থেকে পাহাড় ধসে বা অন্য কোনভাবে হাতিটি বাংলাদেশে মৃত অবস্থায় ভেসে আসে। সীমান্ত নদী হয়ে হাওরে পড়ে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার শান্তিপুর হাওরে এসে লাগে। পরে স্থানীয়রা প্রশাসনকে খবর দেন।
ইউপি চেয়ারম্যান রনজিত চৌধুরী রাজন বলেন, আমাদের এলাকাটি প্রায় সীমান্ত ঘেঁষা। ভারত সীমান্তের সঙ্গে আমাদের অনেক ছোট নদী ও নালা আছে। আমাদের ধারণা প্রায় এক সপ্তাহ আগে ভারত থেকে মৃত অবস্থায় নদী হয়ে হাওরের কান্দায় এসে লাগে হাতিটি। পচা হাতিটির দুর্গন্ধ কয়েক কি.মি. দূর থেকেও নাকে এসে লাগে। অবশেষে আমরা গতকাল স্থানীয়দের নিয়ে বহুকষ্টে হাতিটি কবর দিয়েছি। মৃত হাতিটি দেখতে অনেক মানুষ জড়ো হয়েছিলেন।
উপজেলা ফরেস্ট অফিসার বীরেন্দ্র কিশোর রায় বলেন, আমরা গত ১৭ সেপ্টেম্বর মরা হাতিটির খবর পাই। উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসারসহ স্থানীয় চেয়ারম্যানকে নিয়ে আমরা ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়েছিলাম। মঙ্গলবার স্থানীয়দের নিয়ে সড়কের পাশে মৃত হাতিটি কবর দিয়েছি।