অনলাইন ডেক্স::
আধুনিক নাগরিক জীবনে সকল মানুষকেই ব্যস্ততা ঘিরে থাকে। আধুনিক মানুষের নানা ব্যস্ততাই যেন নিত্যসঙ্গী। আর এ ব্যস্ততার কারণে অনেকেই দেহের ওজন ঠিক রাখতে পারেন না। অনেকেই নানা কারণে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তবে ব্যস্ত মানুষেরও সুস্থ থাকার উপায় রয়েছে। এ লেখায় তুলে ধরা হলো তেমন ১২ উপায়। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে ব্রাইট সাইড।
১. ক্যানের সবজির বদলে ফ্রোজেন খাবার
অনেকেই এখন ক্যানে সংরকক্ষিত সবজি খান। যদিও এটি প্রক্রিয়াজাত খাবার। এতে বাড়তি লবণসহ নানা ধরনের রাসায়নিক ব্যবহৃত হয়। তাই তার বদলে ফ্রিজে রাখা সবজি খান। একেবারে ফ্রোজেন সবজি কিছুদিন সংরক্ষিত রাখলেও ক্ষতি নেই। তা সরাসরি রান্না করে নিতে পারেন।
২. ক্যান্ডির বদলে বাদাম ও ফল
অনেকেই ক্যান্ডি খেতে পছন্দ করেন। যদিও এর বাড়তি চিনি ও অন্যান্য উপাদান স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে। এ কারণে ক্যান্ডি বাদ দিয়ে ফলমূল খান। শুকনো ফল যথেষ্ট মজাদার খাবার। এছাড়া রয়েছে নানা ধরনের মজাদার বাদাম, যা স্বাস্থ্যের জন্যও ভালো।
৩. বেছে ফল খান
ফলমূলের মাঝেও নানা ধরন রয়েছে। আপনি অবশ্যই এমন সব ফল খাবেন, যা আপনার প্রয়োজনীয়। এক্ষেত্রে ওজন কমাতে চাইলে প্রচুর আঁশ রয়েছে এমন ফল খাবেন। এছাড়া বিভিন্ন ভিটামিনের চাহিদার ওপর নির্ভর করে প্রয়োজনীয় ফল খাবেন।
৪. লিফট বাদ দিন
আপনার কর্মক্ষেত্র যদি ৬-৭ তলার মধ্যে হয় তাহলে সিঁড়ি দিয়েই ওঠানামা করুন। লিফট বর্জন করুন। এতে আপনার স্বাস্থ্যের যে উন্নতি হবে তা আপনি মাত্র এক মাসেই টের পাবেন।
৫. চিপসের বদলে অনুশীলন
আপনি যদি দারুণ স্বাস্থ্য চান তাহলে নিয়মিত শারীরিক অনুশীলনের বিকল্প নেই। এছাড়া চিপসের মতো বাড়তি লবণ ও মসলাযুক্ত খাবারও এড়িয়ে চলতে হবে। তাই যে সময়টি চিপস খাওয়ার পেছনে ব্যয় করছেন সে সময়টি শারীরিক অনুশীলনের পেছনে ব্যয় করুন।
৬. ডেজার্টের বদলে ফল
অনেকেই খাওয়ার পরে মিষ্টি খাবার খান। তবে এতে থাকা চিনি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর বিধায় তার বদলে স্বাস্থ্যকর ফলমূল খান।
৭. মেয়নিজের বদলে দই
অনেকেরই উচ্চমাত্রায় মেয়নিজ-যুক্ত খাবার কিংবা ক্রিম খাওয়ার প্রবণতা রয়েছে। তবে এগুলো বাদ দিয়ে দই খেতে পারেন। দই আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণে কাজে আসবে।
৮. সঠিক চা-কফি বাছুন
আপনার দৈনিক কফি পানের অভ্যাস থাকলে সে অভ্যাস বাদ দেওয়ার প্রয়োজন নেই। বিভিন্ন ধরনের চা-কফি রয়েছে। এগুলোর মধ্য থেকে ব্ল্যাক কফি বা টি পান করুন। দুধ দেওয়া চা-কফি বাদ দিন।
৯. জিমে সামাজিকতা করুন
অনেকেই বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে সময় দেওয়ার জন্য চা-কফির দোকানে ভিড় করেন। এছাড়া ফাস্ট ফুডের দোকানে কিংবা রেস্টুরেন্টে অনেকে বন্ধুদের সঙ্গে সামাজিকতা করতে যান। যদিও এর বদলে আপনি জিমেই সামাজিকতা করতে পারেন। এতে স্বাস্থ্যসচেতনতা তৈরি হবে, সামাজিকতাও হবে।
১০. খাওয়ার আগে নাশতা
আপনার যদি বড় খাবার খাওয়ার সময় বাড়তি ক্ষুধা লাগে এবং তাতে বেশি খেয়ে ফেলেন তাহলে ক্ষুধাটা কমিয়ে নিন। এজন্য বড় খাবার খাওয়ার আগে হালকা নাশতা করে নেবেন।
১১. অ্যারোমাথেরাপি
বিভিন্ন ধরনের খাবারের আগে সেগুলোর গন্ধ নেওয়ার ফলে আপনার খাওয়ার প্রবণতা কমতে পারে। এজন্য বিভিন্ন ধরনের খাবারের সুগন্ধ নিতে পারেন প্রয়োজন অনুযায়ী।
১২. সুপ
অনেকেই বিভিন্ন সময়ে খেতে গিয়ে বাড়তি খাবারের প্রবণতা তৈরি করেন। এ বাড়তি খাবারের বদলে স্বাস্থ্যকর এক বাটি সুপ খান। এটি যেমন স্বাস্থ্যের জন্য ভালো তেমন আপনার শরীরের চাহিদাও মেটাবে।