জগন্নাথপুর প্রতিনিধি::
স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম পররাষ্টমন্ত্রী আবদুস সামাদ আজাদের সুযোগ্য উত্তরসুরী, সুনামগঞ্জ -৩ ( জগন্নাথপুর-দক্ষিণ সুনামগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী আজিজুস সামাদ আজাদ ডন বলেছেন, কর্মীরা নেতার কাছ থেকে অরাজনৈতিক আচরণ আশা করে না। তারা চায় একটু ভালোবাসা, একটু সহানুভূতি। নেতাদে কাছ থেকে অবহেলা আর অবমূল্যায়ন পেয়ে অনেক নেতা কর্মী আজ ঘরে বসে আছে। এ আসনের আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা আজ অসহায়। ত্যাগী কর্মীদের দূরে ঠেলে দিয়ে জামাত-বিএনপিকে বুকে টানা হয়েছে। এ ভালোবাসা ক্ষণিকের। আওয়ামী লীগ কর্মীদের মনে বল দিতে, রাজনৈতিক নেতৃত্ব প্রতিষ্টা করতে হবে।
তিনি বলেন, জন্মের পর থেকে দেখেছি বাবা কীভাবে একজন কর্মীকে মূল্যায়ন করতেন। কীভাবে বুকে জড়িয়ে ধরতেন। দুঃখের কথা শুনতেন। সমস্যা সমাধাণ করতেন। জাতীয়- আন্তর্জাতিক দায়িত্ব পালনের পরও এলাকার প্রত্যন্ত অঞ্চলের কর্মীর খোঁজ নিতেন। কোনো কাজ নিয়ে কেউ গেলে ফিরিয়ে দেনন নি তিনি। নির্বাচনী এলাকার মানুষের প্রতি দায়বোধ ছিল তাঁর। আবদুস সামাদ আজাদ আপনারাই তৈরি করেছেন। তাঁর সন্তান হিসেবে অন্তত একবার ভোট দাবি করতে পারি উল্লেখ করে ডন সামাদ বলেন, কথা দিলাম বাবার নামকে ছোট করবো না। কর্মীদের প্রতি আমার ভালোবাসা থাকবে।
রোববার জগন্নাথপুর উপজেলার সৈয়দপুর শাহারপাড়া ইউনিয়নে দু’দিন ব্যাপি উঠোন বিভিন্ন বৈঠকে আজিজুস সামাদ ডন এ কথা বলেন।
সভায় বক্তব্য রাখেন জগন্নাথপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ সহ সভাপতি ও জেলা পরিষদ সদস্য সৈয়দ ছাবির মিয়া, যুগ্ম সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম মাস্টার, সংগঠনিক সম্পাদক বীরেন্দ্র সূত্রধর, আওয়ামী লীগ নেতা কলকলি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আব্দুল হাসিম, সাবেক চেয়ারম্যান আংগুর মিয়া, নুরুল ইসলাম, শাহীন তালুকদার, সৈয়দ মাখন মিয়া মেম্বার, সৈয়দ এলাইছ মিয়া, আলতাব আলী কোরেশী, সৈয়দ সালেহ আহমদ, সৈয়দ ফারুক আহমদ মেম্বার, সৈয়দ হবিব মেম্বার, সৈয়দ জাহির আহমদ, সাচ্চা কোরেশী, যুবলীগ নেতা আনহার মিয়া, আনোয়ার কোরেশী, স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি হাবিবুর রহমান হাবিব, সাধারণ সম্পাদক মোতাহির আলী, সহ সভাপতি সিদ্দিক আহমদ, সৈয়দ তানিন, জয়নুল কোরেশী, আসাদ কোরেশী, ছাত্রলীগ নেতা মিটন দেব, তৈয়বুর রহমান সীতু, সুমন আহমদ, রায়হান তালুকদার, তামিম আহমদ, তালহা প্রমুখ।