অনলাইন ডেস্ক ::
সরকারি করণের ঘোষণার দিন থেকেই বেতন পাবেন নতুন সরকারিকরণ কলেজের শিক্ষকরা। আত্তীকরণের পর সরকারি শিক্ষক হিসেবে তারা আগের পাওনাও বুঝে পাবেন। তবে এমপিও (মান্থলি পেমেন্ট অর্ডার) সুবিধার আওতায় আগের উত্তোলিত অর্থের সঙ্গে সরকারি শিক্ষক হিসেবে প্রাপ্ত বেতনের সমন্বয় করা হবে বলে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, সরকারি ঘোষণার পর নির্ধারিত প্রক্রিয়ায় প্রতিষ্ঠানগুলো সরকারি করার কাজ সম্পন্ন হবে। এরপর ২০১৮ সালের আত্তীকরণ বিধিমালা অনুযায়ী, প্রক্রিয়া অনুযায়ী কলেজ শিক্ষকদের আত্তীকরণ করা হবে। এরপর শিক্ষকরা সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে বেতন উত্তোলন করবেন। আত্তীকরণ পর্যন্ত যে বেতন-ভাতা উঠিয়েছেন এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা, সেই পরিমাণ অর্থ ফেরত দিয়ে সরকারি শিক্ষক হিসেবে ধার্য বেতন পাবেন। তবে এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা যে বেতন আগে উত্তোলন করেছেন, তার সঙ্গে সমন্বয় করে শিক্ষকদের বেতন ওঠাতে হবে বলে জানান মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) কর্মকর্তারা।
২০১৮ সালের আত্তীকরণ বিধিমালার ৯ ধারা অনুযায়ী, অস্থায়ীভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষক ও কর্মচারীরা সংশ্লিষ্ট কলেজ সরকারিকরণের তারিখ থেকে বিদ্যমান জাতীয় বেতন স্কেলের সংশ্লিষ্ট গ্রেডের প্রাথমিক ধাপে স্ব স্ব পদের বেতন-ভাতাদি পাবেন। অর্থাৎ আত্তীকৃত কলেজ শিক্ষকরা নন-ক্যাডার হিসেবে নবম গ্রেডে বেতন পাবেন। এই বিধিমালার আওতায় কলেজের শিক্ষকদের সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) অধীনে পরীক্ষার মাধ্যমে ক্যাডারভুক্তির সুযোগ পাবেন।
অন্যদিকে, সরকারি হওয়া কলেজের অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ, সহকারী অধ্যাপক ও প্রভাষক নন-ক্যাডার হিসেবে নিজ নিজ পদে নিয়োগ পাবেন। তাদের চাকরি আর বদলিযোগ্য হবে না। যেসব শিক্ষকরা পিএসসির পরীক্ষায় অংশ নেবেন না তাদের নন-ক্যাডার হিসেবে আত্তীকরণ করা হবে। প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগে দেশের প্রতিটি উপজেলায় অন্তত একটি করে স্কুল এবং একটি করে কলেজ সরকারি করার কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়। এই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে দেশে এ পর্যন্ত ৫৯৯টি কলেজ সরকারি করা হয়েছে।