স্টাফ রিপোর্টার::
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার মোল্লাপাড়া ইউনিয়নে মুহিবুর রহমান নামের এক ব্যক্তি কাজী সেজে নকল বালাম তৈরির মাধ্যমে বিয়ে রেজিস্ট্রি করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। চলতি বছরই তার বালামে ৭১টি বিয়ে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। নকল রেজিস্ট্রি করায় অনেকের বিয়ে বিচ্ছেদের মতো ঘটনা ঘটলেও নকল রেজিস্ট্রির কারণে ব্যবস্থা নিতে পারছেন না বলে জানা গেছে।
এই ‘ভুয়া কাজী’র বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে গত ২৩ সেপ্টেম্বর লিখিত অভিযোগ করেছেন মোল্লাপাড়া ইউনিয়নের নিকাহ রেজিস্টার কাজী মো. হাবিবুর রহমান চৌধুরী। আবেদনের পর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ভুয়া কাজীর বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ তদন্তক্রমে ব্যবস্থা নিতে সদর সাব-রেজিস্টারকে নির্দেশ দিয়েছেন। এর অনুলিপি সুনামগঞ্জ জেলা রেজিস্টারকে দেয়া হয়েছে।
জানা গেছে, সাদকপুর গ্রামের মৃত আব্দুল করিমের পুত্র মো. মহিবুর রহমান নিয়োগকৃত কাজী না হয়েও নকল বালাম তৈরি করে দীর্ঘদিন ধরে বিয়ে রেজিস্ট্রি করছেন। চলতি বছরই তার বালামে ৭১টি বিয়ে রেজিস্ট্রির বিষয়টি লিপিবদ্ধ রয়েছে।
গত ২১ সেপ্টেম্বর কোরবাননগর ইউনিয়নের নূরপুর নয়াহাটি গ্রামের জমসেদ আলীর মেয়ে ও একই ইউনিয়নের শেখেরগাঁও গ্রামের মো. জাহাঙ্গীরের বিয়ে রেজিস্ট্রির জন্য ইউনিয়নে নিয়োগকৃত কাজী মো. হাবিবুর রহমান চৌধুরীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। ইউনিয়নের কাজী উপস্থিত হওয়ার আগেই ভুয়া কাজী নকল বালামের বই দিয়ে বিয়েটি রেজিস্ট্রি করেন। তার বালাম বই নং ০১/২০১৫ উল্লেখ রয়েছে। তাছাড়া বালাম বইয়ে বিবাহ ও তালাক রেজিস্টার কার্যালয় লক্ষণশ্রী ইউপি, সদর সুনামগঞ্জ উল্লেখ রয়েছে। পরে ভুয়া কাজীর ওই বালামটি মোল্লাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নূরুল হকের জিম্মায় রাখা হয়।
মোল্লাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের নিকাহ ও তালাক রেজিস্টার মো. হাবিবুর রহমান চৌধুরী বলেন, এই ভুয়া কাজীর কোন কাগজপত্র নেই। ফটোকপি করে নকল বালাম বই তৈরি করেছেন। সে এভাবে বিয়ে রেজিস্ট্রি করিয়ে অনেক মানুষের ক্ষতি করছে। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আমরা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর আবেদন করেছি।