1. haornews@gmail.com : admin :
  2. editor@haor24.net : Haor 24 : Haor 24
সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৫৮ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
জামালগঞ্জে নবাগত জেলা প্রশাসকের মতবিনিময় সভা সিলেটে শিল্পকলা একাডেমির কালচারাল অফিসারকে অপসারণের দাবিতে গণস্বাক্ষর কার্যক্রম ২৫০ শয্যা হাসপাতালে সেবার মান বাড়ানোর দাবিতে মতবিনিময় সুনামগঞ্জে বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া ও মিলাদ বন্যার্তদের সহায়তায় সুনামগঞ্জে শিল্পকলা একাডেমির ব্যতিক্রমী ছবি আঁকার কর্মসূচি জগন্নাথপুরে শিক্ষিকা লাঞ্চিত: দোষীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম দেশের গণমাধ্যমের স্বাধীনতাবিরোধী সকল কালাকানুন বাতিলের দাবি সাবেক ছাত্রলীগ নেতা পান্নার মরদেহ হস্থান্তর করলো মেঘালয় পুলিশ কাদের সিদ্দিকী বললেন: বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগ আর শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ এক নয় বাংলাদেশে সাম্প্রতিক বন্যায় ২০ লাখ শিশু ঝুঁকিতে : ইউনিসেফ

গ্যাস্ট্রিকের সহজ ও ঘরোয়া ১২ চিকিৎসা

  • আপডেট টাইম :: বৃহস্পতিবার, ২৫ আগস্ট, ২০১৬, ৩.২৮ পিএম
  • ৫৮৮ বার পড়া হয়েছে

অনলাইন ডেক্স::
পাকস্থলীর গ্যাস্ট্রিক গ্ল্যান্ড থেকে যখন অতিরিক্ত অ্যাসিড নিঃসরিত হয় তখনই মূলত অ্যাসিডিটি তৈরি হয়। এর ফলে পেটে গ্যাস উৎপাদন, দুর্গন্ধযুক্ত নিঃশ্বাস, পেট ব্যথা এবং আরো অনেক লক্ষণ দেখা যায়।
সাধারণত খাবার গ্রহণে অনিয়ম, না খেয়ে থাকা, অতিরিক্ত চা, কফি পান বা ধূমপান ও মদপানের কারণে অ্যাসিডিটি হয়। এর ফলে বুকে জ্বালাপোড়া এবং খাবার খাওয়ার সময় গলা দিয়ে অ্যাসিড উদগীরণের মতো সমস্যা দেখা দেয়।
এখানে রইল অ্যাসিডিটির সহজ ১২টি ঘরোয়া চিকিৎসা পদ্ধতির বিবরণ :
১. তুলসী পাতা
এই পাতার শীতল এবং বায়ুনাশকারী উপাদান আপনাকে তাৎক্ষণিকভাবে অ্যাসিডিটির ফলে সৃষ্ট যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দেবে। অ্যাসিডিটির লক্ষণ দেখা গেলে সঙ্গে সঙ্গেই কয়েকটি তুলসী পাতা খেয়ে নিন। অথবা ৩-৪টি তুলসী পাতা এক কাপ গরম পানিতে ভিজিয়ে রাখুন এবং কয়েক মিনিট ধরে সেদ্ধ হতে দিন। এরপর পানিটুকু চুমুক দিয়ে খেয়ে ফেলুন।
২. ফিনেল টি
প্রতিবেলা খাবার গ্রহণের পর অ্যাসিডিটি থেকে রেহাই পেতে ফিনেল চা বীজ চিবিয়ে খেতে পারেন। ফিনেল চা বদহজম এবং পেট ফাঁপার চিকিৎসায় কার্যকর ভূমিকা পালন করে। ফিনেল বীজের নির্যাস থেকে যে তেল বের হয় তা এ ক্ষেত্রে খুবই উপকারী।
৩. দারুচিনি
এই নম্র মসলাটি প্রাকৃতিক অ্যান্টাসিড হিসেবে কাজ করে। এটি হজম প্রক্রিয়া ও শোষণক্রিয়া শক্তিশালী করে পাকস্থলীর সমস্যা দূর করবে। পাকস্থলীর নালীগুলোর ইনফেকশন থেকে মুক্তি পেতে দারুচিনির চা পান করুন।
৪. মাখন তোলা দুধ বা ঘোল
ভারী বা মসলাযুক্ত খাবার খাওয়ার পর অ্যান্টাসিড না খেয়ে বরং একগ্লাস ঘোল পান করুন। এতে রয়েছে ল্যাকটিক অ্যাসিড যা পাকস্থলীর অ্যাসিডিটিকে স্বাভাবিক করে আনে। এর সঙ্গে কয়েকটি গোল মরিচ বা ১ চা চামচ ধনে পাতা মিশিয়ে দিলে আরো ভালো ফল পাওয়া যাবে।
৫. গুড়
খাবারের পর বুড়োরা কেন গুড় খান তা কি কখনও ভেবে দেখেছেন? গুড়ে রয়েছে উচ্চমাত্রার ম্যাগনেশিয়াম উপাদান যা পাকস্থলীর কার্যক্রমকে আরো শক্তিশালী করে। এটি হজম প্রক্রিয়ায়ও সহায়তা করে। আর হজম প্রক্রিয়াকে সহজ করার মাধ্যমে পাকস্থলীকে অ্যাসিড মুক্ত করে। এ ছাড়া দেহের তাপমাত্রা স্বাভাবিক রাখা এবং পাকস্থলীকে ঠা-া করার কাজও করে গুড়।
৬. লবঙ্গ
হজমজনিত বিশৃঙ্খলার চিকিৎসায় ঐতিহ্যবাহী চীনা চিকিৎসা শাস্ত্র এবং আয়র্বেদ শাস্ত্রে লবঙ্গের একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ স্থান রয়েছে। লবঙ্গ বায়ুনাশকারী। ফলে এটি পাকস্থলীতে গ্যাস নির্গমণে বাধা দেয়। লবঙ্গ ও এলাচ গুঁড়া খেলে নিশ্বাসের দুর্গন্ধও দূর হয়।
৭. জিরা বীজ
জিরা বীজ অ্যাসিড প্রতিরোধী হিসেবে কাজ করে। হজম প্রক্রিয়ায় সহায়ক এবং পাকস্থলীর ব্যথানাশক হিসেবে কাজ করে। ভাজা জিরা বীজ চূর্ণ করে এক গ্লাস পানির সঙ্গে মিশিয়ে অথবা এক কাপ সেদ্ধ পানিতে ১ চা চামচ জিরা বীজ মিশিয়ে প্রতিবেলা খাবারের পর পান করুন।
৮. আদা
আদায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে হজমে সহায়ক এবং প্রদাহরোধী উপাদান। পাকস্থলীর অ্যাসিড দূরীকরণে এক ফালি তাজা আদা চিবিয়ে খান। অথবা প্রতিদিন দুই থেকে তিনবার এক চামচ করে আদার রস খান। অথবা এককাপ ফুটন্ত পানিতে তাজা আদা সেদ্ধ করে পানিটুকু পান করুন।
৯. ঠা-া দুধ
ল্যাকটোজ গ্রহণে যাদের কোনো সমস্যা হয় না তাদের পাকস্থলী থেকে অ্যাসিড দূর করতে দুধ খুবই কার্যকর ভুমিকা পালন করতে পারে। দুধ ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ। যা পাকস্থলীতে অ্যাসিড তৈরিতে বাধা দেয়। সুতরাং পরেরবার অ্যাসিডিটিতে আক্রান্ত হলে একগ্লাস ঠা-া দুধ পান করুন।
১০. আপেল সুরা ভিনেগার
অনেক সময় পাকস্থলীতে স্বল্প অ্যাসিডিটির ফলেও সমস্যা দেখা দেয়। আর এ ক্ষেত্রে আপেলের সুরা থেকে তৈরি ভিনেগার কাজে লাগে। ১-২ চা চামচ অপরিশোধিত এবং অপরিশুদ্ধ আপেল সুরা ভিনেগার এক কাপ পানিতে মিশিয়ে প্রতিদিন একবার বা দুইবার পান করুন। এ ছাড়া এক টেবিল চামচ আপেল সুরা ভিনেগার এক গ্লাস পানিতে মিশিয়ে পান করতে পারেন।
১১. নারকেলের পানি
নারকেলের পানি দেহে পিএইচ অ্যাসিডের মাত্রা কমিয়ে আনে। এ ছাড়া নারকেলের পানি পাকস্থলীতে শ্লেষ্মা তৈরিতেও কাজ করে। শ্লেষ্মা পাকস্থলীকে অতিরিক্ত অ্যাসিড উৎপাদনের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা করে। আর এটি আঁশসমৃদ্ধ হওয়ার কারণে হজম প্রক্রিয়ায়ও সহায়তা করে এবং পুনরায় অ্যাসিডিটির হাত থেকে পাকস্থলীকে রক্ষা করে।
১২. কলা
কলাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ প্রাকৃতিক অ্যান্টাসিড। অ্যাসিডিটি থেকে রেহাই পেতে এটি সবচেয়ে সহজ ঘরোয়া টোটকা। প্রতিদিনি অন্তত একটি কলা খান। তাহলে অ্যাসিডিটির কুপ্রভাব থেকে রেহাই পাবেন।
সূত্র : এনডিটিভি।

Print Friendly, PDF & Email

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
themesbazarhaor24net
© All rights reserved © 2019-2024 haor24.net
Theme Download From ThemesBazar.Com
error: Content is protected !!