অনলাইন ডেস্ক ::
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে সম্ভাব্য সহিংস অপরাধকর্ম ঠেকাতে আগাম প্রস্তুতি নিয়েছে পুলিশ প্রশাসন। এর অংশ হিসেবে সহিংসতা ও নাশকতা রোধে এখন থেকেই সতর্কাবস্থা অবলম্বনের জন্য ৬৪ জেলায় বার্তা পাঠিয়েছে পুলিশ সদর দফতর। গত সপ্তাহে পুলিশ সদর দফতর থেকে দেওয়া এ বার্তায় পুলিশকে আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পুলিশের দায়িত্বশীল সূত্রগুলোর মতে, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের আগে ও পরে আন্দোলনের নামে যে নাশকতামূলক তৎপরতা চালানো হয়েছে এবার কোনো অবস্থাতেই তার পুনরাবৃত্তি ঘটতে দেওয়া হবে না।
পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি (প্রশাসন ও অপারেশন) মো. মোখলেসুর রহমান বলেন, আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সহিংসতা রোধে পুলিশের ব্যাপক প্রস্তুতি রয়েছে। এবার নির্বাচনকেন্দ্রিক কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে দেওয়া হবে না। কোনো ব্যক্তি, গোষ্ঠী বা রাজনৈতিক দল সন্ত্রাস, সহিংসতা ও নাশকতামূলক কর্মকান্ডে লিপ্ত হওয়ার চেষ্টা করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর অ্যাকশন নেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে ইতোমধ্যে। নির্বাচনের পরিবেশ সুষ্ঠু করতে পুলিশ সদর দফতর থেকে সারা দেশে মাঠপর্যায়ে পুলিশ সদস্যদের কাছে ৬৪ জেলা পুলিশ সুপারের মাধ্যমে বার্তা পাঠানো হয়েছে।
তিনি বলেন, সরকার বিশৃঙ্খলা এড়িয়ে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানে আগ্রহী। সুতরাং কোনো অপশক্তি বা কোনো উগ্রবাদী রাজনৈতিক দল আন্দোলনের নামে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি বা পরিবেশ বিনষ্ট করার চেষ্টা করলে পুলিশ তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেবে। যেকোনো মূল্যে নাশকতামূলক তৎপরতা ঠেকাবে পুলিশ।
মোখলেসুর রহমান বলেন, জঙ্গিবাদ প্রশ্নে পুলিশ সদস্যরা শতভাগ সফলতার পরিচয় দিয়েছেন। একের পর এক পুলিশি অভিযানে জঙ্গিরা নিজেদের গুটিয়ে নিতে বাধ্য হয়। জঙ্গিবাদ এখন কতটা আছে সেটা বলতে না পারলেও এটা নিশ্চিত করে বলতে পারি, জঙ্গিরা সক্ষমতা হারিয়েছে। তারা এখন অনেক দুর্বল। তারা বড় ধরনের কোনো হামলা চালাতে সক্ষম নয়। কারণ র্যাব, পুলিশ, পুলিশের এন্টি-টেররিজম ইউনিট ও কাউন্টার টেররিজম ইউনিটসহ বিভিন্ন উইং তৎপর আছে, তৎপর রয়েছে ইন্টিলিজেন্স উইংগুলোও।