অনলাইন ডেক্স::
রাজধানীর মিরপুরের দু’জন সংসদ সদস্যের উপস্থিতিতে তাবলিগ জামাত বিষয়ে হেফাজতে ইসলাম ঘরানার আলেমদের ওয়াজাহাতি জোড় (স্পষ্টকরণ সভা) অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) মিরপুর-১২ নম্বরের হারুন মোল্লা ঈদগাহ মাঠে আয়োজিত এ সভায় ২০১৯ সালের ইজতেমার আগে ও পরে কোনও জেলাভিত্তিক ইজতেমা হবে না বলে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। সভায় সভাপতিত্ব করেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ মহাসচিব জুনায়েদ বাবুনগরী। তবে এ সভায় মাওলানা সা’দপন্থী আলেমদের কেউ উপস্থিত ছিলেন না।
এ স্পষ্টকরণ সভায় ৯টি ঘোষণা দেওয়া হয় যার বেশিরভাগই তাবলিগ জামাতের অন্যতম মুরব্বি মাওলানা সা’দ ও তার অনুসারীদের প্রতি কটাক্ষ করে নেওয়া। এরমধ্যে রয়েছে মাওলানা সা’দকে অনুসরণ করা সম্পূর্ণভাবে বর্জনীয় ও নিষিদ্ধ। মাওলানা সা’দের সিদ্ধান্ত বাংলাদেশে বাস্তবায়ন করা যাবে না। কাকরাইল মসজিদের যেসব শুরা সদস্য মাওলানা সা’দকে অনুসরণ করছেন তারা শুরা সদস্য থাকবেন না। মাওলানা সা’দ দারুল উলুম দেওবন্দের আস্থা অর্জন না করা পর্যন্ত বাংলাদেশে আসতে পারবেন না। এসময় দেশজুড়ে সা’দপন্থীরা যাতে জেলাভিত্তিক ইজতেমা করে সংগঠিত হতে না পারে সেজন্য ২০১৯ সালের ইজতেমার আগে ও পরে জেলাভিত্তিক ইজতেমা হবে না বলেও ঘোষণা দেওয়া হয়।
হেফাজত মহাসচিব বলেন, যারা সা’দ সাহেবকে অনুসরণ করছেন তারা আসলে তার পূজা করছেন। আমি এটাকে ব্যক্তিপূজা বলবো। এমন ব্যক্তিপূজা ইসলাম সমর্থন করে না। আমরা ব্যক্তিকে চাই না, মেহনত চাই।
এসময় তাবলিগ জামাতের কর্মীদের হাতাহাতিতে না জড়াতে অনুরোধ জানিয়েছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব। তিনি বলেন, কওমি মাদ্রসা ও তাবলিগ জামাতের স্বকীয়তা বজায় রাখার জন্যে কাজ করে যাবো। ওরা (সা’দ অনুসারী) হাতাহাতি করলেও আপনারা (সাদ বিরোধী) হাতাহাতি করবেন না।
এ জোড়ে (সভায়) তাবলিগ কর্মী, হেজাজত কর্মী ছাড়াও সংসদ সদস্য ইলিয়াস উদ্দীন মোল্লা ও আসলামুল হক বক্তব্য রাখেন।
ঢাকা-১৪ আসনের সংসদ সদস্য আসলামুল হক আসলাম বলেন, আমাদের সরকার কওমি মাদ্রাসা ও আলেমদের পক্ষে। সরকার বিশৃঙ্খলাকারীদের সঙ্গে নেই। সবাই আলাপ আলোচনা করে সমস্যার সমাধান করবেন।
ঢাকা-১৬ আসনের সংসদ সদস্য ইলিয়াস মোল্লা বলেন, আমরা সবসময় চাই শান্তি। কাকরাইল মসজিদকে দুই ভাগ করতে দেওয়া যাবে না, ইজতেমাও দুই ভাগ হবে না।
জোড়ে কাকরাইল মারকাজের শুরা সদস্য মাওলানা যুবায়ের আহমদ, জামিয়া রাহমানিয়ার প্রিন্সিপাল মাওলানা মাহফুজুল হক, আরজাবাদ মাদ্রাসার পরিচালক মাওলানা বাহাউদ্দিন যাকারিয়া, বসুন্ধরা ইসলামিক রিসার্চ সেন্টারের পরিচালক মুফতি মিযানুর রহমান সাঈদ, কাপাসিয়ার পীর অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান, শাইখুল হাদীস মাওলানা সাজিদুর রহমান, মাওলানা কেফায়েতুল্লাহ আজহারী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।