অনলাইন ডেক্স::
ঢাকার অদূরে নারায়ণগঞ্জের পাইকপাড়া বড় কবরস্থান সংলগ্ন একটি বাড়িতে ‘অপারেশন স্ট্রং ২৭’ অভিযানে গুলশান, শোলাকিয়া, কল্যাণপুরসহ বিভিন্ন হামলার মূল পরিকল্পনাকারী তামিম চৌধুরীসহ চার জঙ্গি নিহত হয়েছে। কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম ও নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফারুক হোসেন শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় এই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট, পুলিশ সদর দফতরের এলআইসি শাখা যৌথভাবে ‘অপারেশন হিট স্ট্রং ২৭’ নামে এ অভিযান পরিচালনা করে। সকাল ১০ টা ৩৫ মিনিটে অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা করে সংশ্লিষ্টরা জঙ্গিদের হত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জঙ্গি তামিম চৌধুরীকে ধরিয়ে দেওয়ার জন্য এর আগে পুলিশ ২০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছিল। কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের অতিরিক্ত উপ-কমশিনার সানোয়ার হোসেন জানিয়েছেন, কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট, পুলিশ সদর দফতরের এলআইসি শাখা যৌথভাবে এ অভিযান শুরু করেছে। অভিযান শুরুর পরপর বিস্ফোরণ ও গুলির শব্দ শোনা যায়। পাইকপাড়া বড় কবরস্থান এলাকার তিনতলা ওই ভবনের তৃতীয় তলাতেই জঙ্গিরা অবস্থান করছে। সকালে অভিযানের বিষয়টি টের পেয়ে জঙ্গি সদস্যরা তাদের সব ডকুমেন্ট ও আলামত আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ফেলে। আমাদের ধারণা, তিন তলাতে জঙ্গিদের একটি বড় টিম অবস্থান করছে। সকাল সাড়ে ৯টায় পুলিশটের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট ও ডিএমপি পুলিশ, নারায়ণগঞ্জ পুলিশ ও র্যাবের সহযোগিতার অপারেশন শুরু করে তাদের হত্যা করা হয়।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ঘটনাস্থলে পুলিশ ও র্যাবের অতিরিক্ত সদস্যদের মোতায়েন করা হয়। গুলশানের ঘটনার আটকৃতের তথ্যের ভিত্তিতে এখানে অভিযান চলছে বলে একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে।
রাজধানীর কল্যাণপুরের জঙ্গি আস্তানায় ‘স্টর্ম ২৬’ অভিযানের পর নারায়ণগঞ্জের পাইকপাড়ার বড় কবরস্থানের কাছে একটি বাড়িতে থাকা জঙ্গি আস্তানায় ‘অপারেশন স্ট্রং ২৭’ চালায় পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট ও পুলিশ সদর দফতরের এলআইসি শাখা। এ অভিযানে স্নাইপার রাইফেল ব্যবহার করা হয়। শনিবার সকাল পৌনে ৯ টার দিকে ওই বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। অভিযান শেষ হয় সকাল ১০টা ৩৫ মিনিটে।
এ অভিযানে গুলশান হামলার মাস্টারমাইন্ড তামিম চৌধুরীসহ তিন জঙ্গি নিহত হয়েছে।
পাইকপাড়া এলাকায় তিন তলা বাড়ির তৃতীয় তলায় ছিল জঙ্গি আস্তানা। শুক্রবার রাত আড়াইটা থেকে ওই বাড়ির আশেপাশের বাড়ি থেকে লোকজনকে সরিয়ে দেওয়া হয় এবং বাড়িটি ঘেরাও করে রাখা হয়। অভিযানের সময় আইনশৃঙ্খরা বাহিনী সদস্যদের লক্ষ্য করে জঙ্গিরা একের পর এক গ্রেনেড ছুড়ে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।