রাজন চন্দ, তাহিরপুর::
তাহিরপুর ডায়াগনস্টিক এন্ড কনসালটেশন সেন্টার। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পাশেই এ ডায়গানষ্টিক সেন্টারের অবস্থান। অভিযোগ উঠেছে রোগীর বিভিন্ন পরীক্ষায় এ প্রতিষ্ঠানটি (তাহিরপুর ডায়াগনষ্টিক এন্ড কনসালটেশন সেন্টার) রোগের সঠিক রিপোর্ট দিতে বার বার ব্যার্থ হচ্ছে। কাগজে কলমে তাদের প্যাথলজিস্ট বা লেব ট্যাকনেশিয়ান থাকলেও বাস্তবে ডিগ্রিধারী কেউ নেই। তাই মনগড়া রিপোর্ট দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার সকালে তাহিরপুর ডায়াগনষ্টিক এন্ড কনসালটেশন সেন্টারের পরিচালক আজরফ হোসেন, টেকনেশিয়ান নুরুল আমিন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপ-সহকারি কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার মহিউদ্দিন বিপ্লব ও ডাঃ ফয়েজ ইসলামের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়ে এলাকাবাসীর পক্ষে এ বিষয়ে তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও থানা অফিসার ইনচার্জ বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন উপজেলার সদর ইউনিয়নের খলাহাটি গ্রামের সমাজসেবক সুষেন বর্মন।
লিখিত অভিযোগ থেকে জানা যায়, তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একাধিক ডাক্তার ও স্থানীয় কয়েকজন লোক নিয়ে একটি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে তাহিরপুর ডায়াগনষ্টিক এন্ড কনসালটেশন সেন্টার পরিচালিত হচ্ছে। গত ১ বছরের মধ্যে এ সেন্টারটি বিভিন্ন রোগীকে ভুল রিপোর্ট দিয়ে আসছে। ভুল রিপোর্টের ফলে হাসিনা বেগম নামে এক রোগীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছেও বলে অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে। সর্বশেষ রবিবার উপজেলার সদর ইউনিয়নের খলাহাটি গ্রামের সুষেণ বর্মনের একমাত্র মেয়ে সুকন্য বর্মনের শরীরে জ¦র দেখা দিলে ডাক্তারের পরামর্শে তাহিরপুর ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে সুকন্য বর্মনের রক্ত পরীক্ষা করা হলে তার টাইফয়েড হয়েছে বলে তারা রিপোর্ট প্রদান করেন। এমতাবস্থায় একমাত্র মেয়ের উন্নত চিকিৎসার জন্য সুষেন বর্মন তার কন্যাকে সুনামগঞ্জ নিয়ে গেলে সুনামগঞ্জের হিউম্যান ল্যাবে পুনরায় সুকন্য বর্মনের রক্ত পরীক্ষা করা হলে তারা জানান সুকন্যা বর্মনের সামান্য জ¦র হয়েছে। সেখানে কর্তব্যরত ডাক্তার জানান, তাহিরপুর ডায়াগনস্টিক সেন্টারে টাইফয়েড হয়েছে বলে যে রিপোর্ট দিয়ে তা সম্পুর্ন ভুল।
পরবর্তীতে সুকন্যা বর্মনের পিতা সুষেন বর্মন এরকম ভুল রিপোর্ট দেওয়ার জন্য তাহিরপুর ডায়াগনষ্টিক এন্ড কনসালটেশন সেন্টারের পরিচালকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যাবস্থা নেয়ার জন্য লিখিত অভিযোগ করেন।
তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও প. প. কর্মকর্তা ডাক্তার মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন বলেন, রোগীদেরকে বার বার ভুল রিপোর্ট দেয়ার জন্য আমরা তাদের সেন্টারটি বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছি। তবুও যদি তারা এটি চালিয়ে যায় তার দায়ভার আমাদের নয়। এ ক্ষেত্রে আমাদের কোন ডাক্তার যদি জড়িত তাকে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আমরা বিভাগীয় ব্যাবস্থা গ্রহন করব।
এ বিষয়ে তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার পূর্নেন্দু দেব জানান,আমি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি বিষয়টি তদন্ত করে ব্যাবস্থা নেয়া হবে।