স্টাফ রিপোর্টার::
সুনামগঞ্জের শাল্লায় নারকিলা গ্রামের একাধিক মামলার আসামি মাদক কারবারিদের হামলায় মাদকবিরোধী পরিবারের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত ৮জন শাল্লা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এর মধ্যে গুরুতর আহত দুজনকে সিলেট ওসমানীতে পাঠানো হয়েছে।
রবিবার সন্ধ্যা ৬টায় উপজেলার নারকিলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মাদক কারবারে বিরোধিতা করায় মাদকবিরোধী পরিবারের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে গ্রামে দেশিয় চোলাই মদ তৈরি নিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের নৌকার মাঝি আব্দুর রহিম ও তার পরিবারের লোকদের সঙ্গে মাদক কারবারি হিসেবে পরিচিত একাধিক মামলার আসামি জাহাঙ্গীর, আমজদ, মতলিব, তোফায়েলসহ কয়েকজনের সঙ্গে তাদের বিরোধীতা চলছিল। প্রায় ৫ মাস আগে মাদক কারবারে বিরোধীতা করায় ওই চক্র ওই পরিবারের কলেজ ছাত্র পাভেলকে মারধর করে হাসপাতালে পাঠিয়েছিল। সম্প্রতি গ্রামে মাদক তৈরি ভয়াবহ রূপ নেওয়ায় আব্দুর রহিম, জায়েদ মিয়া, আলমগীর, নিজাম উদ্দিন, আবেদ আলী ও মহসিন মিয়াসহ মাদক বিরোধী পরিবারের লোকজন এর প্রতিবাদ করেন। তারা বিষয়টি স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও পুলিশকেও অবগত করেন। এর জের ধরে শনিবার সন্ধ্যায় অতর্কিত আব্দুর রহিমের বাড়িতে এসে দেশিয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আক্রমণ করে মাদক কারবারিরা। মাদক কারবারিদের অতর্কিত হামলায় আব্দুর রহিম, যায়েদ মিয়া, আলমগীর, নিজাম উদ্দিন, আবেদ আলী, মহসিনসহ অন্তত ১০ জন আহত হন।
আহতদের সন্ধ্যায় শাল্লায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এ ঘটনায় গ্রামে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
আহত মুক্তিযোদ্ধাদের নৌকার মাঝি আব্দুল করিম বলেন, আমরা মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে সবসময়ই সোচ্চার। এর আগে আমার কলেজ ছাত্র আতœীয় প্রতিবাদ করায় মাদক কারবারিরা তাকেও মারধর করেছিল। এখন আমরা প্রতিবাদ করায় আমাদের উপরও সংঘবদ্ধ হামলা হয়েছে। আবদুল করিম ও মহসিনকে সিলেট ওসমানীতে রেফার্ড করা হয়েছে।
অভিযুক্ত জাহাঙ্গীরের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি ফোন ধরেননি।
শাল্লা থানার ওসি মো. আশরাফুল ইসলাম বলেন, এই গ্রামের কয়েকটি পরিবার লুকিয়ে দেশিয় চোলাই মদ তৈরি করে বলে অভিযোগ আছে। আমি আসার পর তাদের আস্তানা গুড়িয়ে দিয়েছি। এ নিয়ে গতকাল কিছু মানুষ প্রতিবাদ করায় মাদক কারবারিরা তাদেরকে মারধর করেছে বলে শুনেছি। আমরা এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছি।