স্টাফ রিপোর্টার,তাহিরপুর
হিন্দু ধর্মাবলাম্বীদের প্রধান উৎসব দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে তাহিরপুরে। প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গাপুজাকে সামনে রেখে প্রতিমা তৈরীতে শেষ সময়ে ব্যস্থ সময় পার করছেন প্রতীমা শিল্পীরাও। আর মাত্র কদিন বাকি তাই প্রতি বারের মতই প্রতিমা তৈরিতে কারু শিল্পীরা খড়,কাদাঁ মাটি ও বাঁশের সাহায্যে তাদের নিজেস্ব শৈল্পীক সৌন্দর্যে নিখুত হাতের কারুকার্য প্রদর্শনের চেষ্টায় ব্যাস্ত সময় পার করছেন। ১৫থেকে শুরু ১৯অক্টোবর বিজয়া দশমী দূর্গাৎসব শেষ হবে।
জানা যায়-এবার সুনামগঞ্জ জেলার ১১টি উপজেলায় ৩ শতাধিক মন্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে সুনামগঞ্জ জেলা সদরে ১৯টি,দক্ষিন সুনামগঞ্জে ১৭টি,জগন্নাথপুরে ২১টি,ছাতকে ২৬টি,ধর্মপাশায় ১৩টি,মধ্যনগরে ২১টি,বিশ্বাম্ভরপুরে ১৭টি,দিরাইয়ে ৪৭টি,দোয়ারা বাজারে ১৫টি,জামালগঞ্জে ৪০টি,তাহিরপুরে ২৫টি এবং শাল্লায় ২৫টি পূজা মন্ডপ তৈরি করা হচ্ছে।
জেলার তাহিরপুর উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের তাহিরপুর সদর,বাদাঘাট বাজার,বালিজুরি,উত্তর শ্রীপুর,দক্ষিন শ্রীপুর,আনোয়ারপুর,চাঁনপুর,ট্যাকেঘাট,বড়ছড়া,লাউড়ের গড়,ঘাঘটিয়াসহ ২৫টির বেশী মন্ডপে পালিত হবে দূর্গাপূজা। আর এসব মন্ডপের প্রতিমা তৈরিতে সৌন্দর্য,চাকাচিক্য,ভিন্নতা মধ্য দিয়ে সর্বাধিক প্রশংসার অধিকার লাভ করার জন্য উপজেলার প্রতিটি মন্ডপে চলছে কারু শিল্পী ও আয়োজকদের নীরব প্রতিযোগীতা। এবার দেবী দূর্গার পাশা পাশি লক্ষী,সরস্বতী,গনেশ,অসুর,মহিষ,কার্তিক,সিংহের মৃন্ময় মূর্তি তৈরিতে আনা হচ্ছে আধুনিকতার চমক। এবার দেবী দূর্গার আগমন এবং প্রস্থান নিয়ে কোন কোন মন্ডপে দেবী প্রতীকী ঘটনাসহ পৌরাণিক কাহিনী কে নানা আদলে ফুটিয়ে তুলার চেষ্টা চলছে। চোখ ধাদানো সুন্দর্য প্রকাশের জন্য মন্ডপের সাঁজ-সজ্জাঁতেও থাকছে ভিন্নতা আর বিদ্যুৎতের সাহায্যেও ফুটিয়ে তুলার চেষ্টা চলবে দেব রাজ্যের নানা কল্প-কাহিনী জানান আয়োজকগন।
বিভিন্ন উপজেলার কারু শিল্পীরা জানান-প্রতিমা তৈরি করা প্রায় শেষের দিকে সম্পর্ন্ন শেষ করার পর রং তুলির নিখুঁত আচঁড়ে ফুটিয়ে তুলা হচ্ছে প্রকৃত অবয়ব। ফুটিয়ে তুলা হবে নাক,কান,চোখ,মূখ ইত্যাদি। রংয়ের কাজ প্রায় শেষ এরপরই শুরু হবে পোষাক পরিচ্ছদ পরিদানের মাধ্যমে আরো আকর্শনীর করার কাজ।
জেলা ও উপজেলার আইনশৃংখলা বাহিনীর সূত্রে জানাযায়,প্রতি বছরের মত এবারও জেলা ১১টি উপজেলা শান্তি,শৃংখলা রক্ষায় পূজা উদযাপন পরিষদ,উপজেলা পরিষদ,উপজেলা প্রশাসন,স্থানীয় এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে ও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন পদক্ষেপ। পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দ প্রতিবারের মত এবারও সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের সর্বাতœক সাহায্য ও সহযোগীতা পাওয়ার আশাবাদ বক্ত করেন। জেলার হাওরপাড়ের বাসীন্দা সজল,প্রদীপ,মনি সহ অনেকেই বলেন-পূজা মানেই আনন্দ,পূজা মানেই বিভেদ ভুলে ঐক্যের জয়গান। আমরা আমাদের প্রধান এই উৎসবের আনন্দ ধর্ম,বর্ন নির্বিশেষে সবার সাথে ভাগ করতে চাই। এবার উৎসব আনন্দ মুখর হবে।
তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান কামরুল জানান-সনাতন হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান উৎসব দূর্গাপূজা সুশৃংখল ও শান্তি পূর্ন রাখতে আমার উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে সর্বাতক চেষ্টা করব। আশা করি এবারের দূর্গাৎসব আনন্দ মুখর হবে।
তাহিরপুর থানার ওসি নন্দন কান্তি ধর জানান,হাওর বেষ্টিত তাহিরপুর উপজেলায় দূর্গা পূজায় আইনশৃংখলা রক্ষায় আমাদের পক্ষ থেকে সর্বাতœক সর্তকতা অবলম্ভন করা হবে। কোন প্রকার বিশৃংখলা করতে দেওয়া হবে না কাউ কেই। আইন,শৃংখলা বিশৃংখলকারীদের কঠোর হাতে ধমন করা হবে সে যেই হউক।