স্টাফ রিপোর্টার::
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার রসুলপুর মৌজার জেএল নং ১১৭, এসএ খতিয়ান নং ১, এসএ দাগ নং ৪৪ এ ৭২.২৫ একর মূল্যবান ভূমি রয়েছে। কৃষি শ্রেণির সরকারি এই জমি ভুলক্রমে ‘বিল শ্রেণির’ উল্লেখ থাকায় পৌর শহরের গুরুত্বপূর্ণ এই ভূমিতে নানা জঠিলতার কারণে জমিগুলো ব্যবহার করা যাচ্ছেনা। এ কারণে সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের জায়গা অধিগ্রহণ করতে গিয়ে সরকারের মোটা অংকের টাকা গচ্চা যাচ্ছে। এ বিষয়ে জনস্বার্থে ও সরকারি স্বার্থে এই জমির শ্রেণি পরিবর্তন জরুরি। দ্রুত জমির শ্রেণি পরিবর্তন করার দাবি জানিয়ে গতকাল রোববার সুনামগঞ্জ জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক সদস্য সচিব ও বিশিষ্ট প্রতিবাদী মুক্তিযোদ্ধা মালেক হুসেন পীর জেলা প্রশাসক বরাবরে লিখিত আবেদন করেছেন।
আবেদনে মালেক পীর উল্লেখ করেন উল্লেখিত জমি সরকারি রেকর্ডপত্রে বিল শ্রেণির থাকলেও বাস্তবে কখনো জলমহাল ছিলনা। জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে প্রতি বছর যেসব জলমহাল ইজারা হয় সেই ইজারাকৃত তালিকাতেও এই জলমহালের নাম নেই। এ পর্যন্ত কখনো এটি ইজারাও হয়নি। তিনি উল্লেখ করেন মুদ্রণ সমস্যার কারণে জমির শ্রেণি ভুলক্রমে বিল হয়ে গেছে। প্রকৃতপক্ষে এই জমি কৃষিশ্রেণি প্রকৃতির। সরকারি রেকর্ডে বিল থাকায় মূল্যবান সরকারি ভূমি সরকারি উন্নয়ন স্থাপনার কাজে ব্যবহার করা যাচ্ছেনা। ফলে মোটা অংকের টাকা খরচ করে সরকারকে ভূমিঅধিগ্রহণ করতে হচ্ছে। অবিলম্বে জমির শ্রেণি পরিবর্তন করার দাবি জানান মালেক হুসেন পীর।
মালেক হুসেন পীর বলেন, শহরের ভিতরে মূল্যবান সরকারি ভূমি থাকার পরও বিল শ্রেণির কারণে এই ভূমি সরকারি স্থাপনায় ব্যবহার করা যাচ্ছেনা। কখনো বাস্তবে বিল না থাকা সত্ত্বেও এটাকে বিল শ্রেণির উল্লেখ করা হয়েছে। যে কারণে সরকারি স্থাপনা নির্মাণের কাজে এই মূল্যবান ভূমি ব্যবহার করা যাচ্ছেনা। শ্রেণি পরিবর্তন করে সরকারি স্থাপনা নির্মাণ করা হলে সরকারের মোটা অংকের রাজস্ব রক্ষা হবে।