অনলাইন ডেস্ক ::
আজ (মঙ্গলবার) বিশ্ব খাদ্য দিবস। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও দিবসটি উদযাপিত হচ্ছে। এ বছর দিবসটির মূল প্রতিপাদ্য হচ্ছে, ‘কর্ম গড়ে ভবিষ্যৎ, কর্মই গড়বে ২০৩০-এ ক্ষুধামুক্ত বিশ্ব’।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
দিবসটি উপলক্ষে মঙ্গলবার বিভিন্ন সংগঠন নানা কর্মসূচির আয়োজন করেছে। কৃষি মন্ত্রণালয় রাজধানীর কৃষিবিদ ইন্সটিটিউট মিলনায়তনে সেমিনার ও তিন দিনব্যাপী মেলার আয়োজন করেছে। মঙ্গলবার সকাল ১০টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় র্যালি অনুষ্ঠিত হয়। বিকালে ৩টায় নির্ধারিত প্রতিপাদ্যের ওপর কেআইবি অডিটরিয়ামে সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছে।
এছাড়া কেআইবি অডিটরিয়াম চত্বরে তিন দিনব্যাপী খাদ্য মেলার আয়োজন করা হয়েছে। মেলা চলবে আগামী ১৮ অক্টোবর পর্যন্ত।
রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেছেন, ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা ও জলবায়ু পরিবর্তনজনিত অভিঘাত বিবেচনায় নিয়ে এদেশের গ্রামীণ কৃষিনির্ভর অর্থনীতিকে সুদৃঢ়করণের মাধ্যমে নিরাপদ খাদ্যবলয় তৈরি করা প্রয়োজন। আবহমানকাল থেকেই কৃষি বাংলাদেশের সামগ্রিক উন্নয়নের অন্যতম প্রধান নিয়ামক হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে। দেশের অধিকাংশ মানুষ গ্রামে বাস করেন এবং তাদের জীবনমান কৃষিনির্ভর। তাই দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য প্রযুক্তিনির্ভর টেকসই কৃষি ব্যবস্থাপনার গুরুত্ব অত্যধিক।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন বিশ্বের অন্যতম খাদ্যশস্য উৎপাদনকারী দেশ। দেশের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার খাদ্য নিরাপত্তা অর্জনে কৃষিখাতে এ অর্জন ধরে রাখতে সংশ্লিষ্ট সকলকে সচেষ্ট থাকতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। কৃষিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বর্তমান সরকারের গৃহীত নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণের ফলে কৃষিক্ষেত্রে অভাবনীয় সাফল্য অর্জিত হয়েছে। ধান, পাট, আলু, সবজি, ফলসহ মাছ, মাংস উৎপাদনে বাংলাদেশের সাফল্য আজ বিশ্ব স্বীকৃত।’
তিনি বলেন, ‘আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছি। আমরা খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পেরেছি। এখন পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘কৃষিকাজে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের লক্ষ্যেই কৃষির সম্প্রসারণ কার্যক্রম গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করেছি। আমাদের সরকার ১০ টাকায় ব্যাংক একাউন্ট খোলার সুযোগ করে দিয়েছে। কৃষি ভর্তুকির টাকা ঐ একাউন্টে সরাসরি প্রেরণ করা হচ্ছে।’