অনলাইন ডেস্ক::
বৃহত্তর জাতীয় ঐক্যে’র কথা বলে লন্ডন থেকে একের পর এক গেম খেলছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তার পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য ৭ দফা দাবি ও ১১টি লক্ষ্যের খসড়া চূড়ান্ত করেছে তথাকথিত ‘বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য’। তারেক রহমান ‘বৃহত্তর জাতীয় ঐক্যে’র মাধ্যমে দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যে ভ্রাতৃত্বের বন্ধন ছিল তা নষ্ট করতে চাইছেন বলেও জানা গেছে। ইতোমধ্যেই তারেক রহমানের ফাঁদে পা দিয়েছেন ড. কামালের মতো একাধিক প্রবীণ রাজনীতিবিদ।
গোপন সূত্র বলছে, তারেক রহমানের বুদ্ধিতেই ঐক্য গঠনের নামে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র হচ্ছে। যেখানে দেশের উন্নয়নের কথা বাদ দিয়ে নির্দিষ্ট একটি দলকে ক্ষমতায় বসানোর পাঁয়তারা হচ্ছে। তারেক রহমানের এক বক্তব্যে জানা যায়, ‘বৃহত্তর জাতীয় ঐক্যে’র মূল দাবি হলো—সরকারের পদত্যাগ। আর তার কথা মতোই বাকি ছয়টি দাবি জনগণকে ধোঁকা দেয়ার জন্য রাখা হয়েছে।
সূত্র বলছে, তারেক রহমান চেয়েছিলেন রূপরেখা ঘোষণার আগেই জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ায় ফাটল দেখা দিক। আর সে পরিকল্পনা অনুসরণ করে ঐক্য প্রক্রিয়ার সব নেতাকে রাষ্ট্রপতি আর প্রধানমন্ত্রীত্ব দেয়ার লোভ দেখিয়ে নিজের উদ্দেশ্য হাসিল করতে বদ্ধপরিকর তারেক রহমান। তারেক রহমান এর পরিকল্পনার মূলে ছিল বি চৌধুরীকে রাজনীতির ময়দান থেকে বাইরে বের করা। আর তারই অংশ হিসেবে কামাল হোসেনের নেতৃত্বে ‘ঐক্য প্রক্রিয়া’ থেকে সুকৌশলে সাবেক রাষ্ট্রপতি বি. চৌধুরীকে বের করে দেয়া হয়।
বিশ্বস্ত সূত্র বলছে, তারেক রহমান মনে প্রাণে বিশ্বাস করেন বি. চৌধুরী তার বাবাকে হত্যা করেছে। এই ধারণা থেকেই তারেক রহমান এবার চেয়েছিলেন ‘ঐক্য প্রক্রিয়া’ থেকে বি. চৌধুরী বের হলেই তাকে শিবিরের সন্ত্রাসী দিয়ে হত্যার মাধ্যমে পিতৃ হত্যার প্রতিশোধ নেবেন। সেই প্রক্রিয়া এখনো চলমান রয়েছে বলেও জানায় সূত্রটি। আবার একই কারণে বি. চৌধুরীও জামায়াত শিবিরের বিরুদ্ধাচারণ করে নিরাপদ দূরত্বে অবস্থান করছেন।
লণ্ডন সূত্র জানায়, তারেক রহমানের বুদ্ধিতে একাদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে সরকারবিরোধী ‘ঐক্য প্রক্রিয়া’র নামে কিছু জনবিচ্ছিন্ন রাজনীতিবিদকে একত্র করে বিএনপি। আবার বিএনপির ইচ্ছার বাহিরে কিছু হলেই তারেক রহমান তাকে ‘ঐক্য প্রক্রিয়া’ থেকে সুকৌশলে বের করে দিচ্ছেন । আবার প্রয়োজন মতো ড. কামালকে প্রধানমন্ত্রী হবার স্বপ্ন দেখিয়ে সব নেতাকে ‘ঐক্য প্রক্রিয়া’ থেকে বের করে দেয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন। আর লোভী কামাল হোসেন তারেক এর কথা মতো একেক সময় একেক কাজ করে বিতর্কের জন্ম দিচ্ছেন।
বিএনপির সূত্রে আরো জানা যায়, ‘ঐক্য প্রক্রিয়া’ থেকে সুকৌশলে সাবেক রাষ্ট্রপতি ডা. বি চৌধুরীকে বের করে দেয়ার আগে মাহমুদুর রহমান মান্নাকেও বের করেছিলেন তারেক। আবার মান্না তার দূত মারফত লণ্ডনে তারেক রহমানের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করলে তাকে আবার ঐক্য প্রক্রিয়াতে ফিরিয়ে আনা হয়। ড . কামালকে হাতিয়ার বানিয়ে তারেক ‘ঐক্য প্রক্রিয়া’ নিয়ে গেম খেলছেন।
প্রসঙ্গত, ‘বৃহত্তর জাতীয় ঐক্যে’র কথা বলে সরকারকে বেকায়দায় ফেলার ষড়যন্ত্র করছেন তারেক। লণ্ডনে একাধিক গোপন বৈঠকে তারেক রহমান জাতীয় ঐক্যে’র বিষয়ে নিজের অবস্থান নিয়ে বক্তব্য দিয়েছেন। এসব বৈঠকে তিনি জানিয়েছেন, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রবকে রাষ্ট্রপতি করা হবে, অন্যদিকে ড . কামালকে করা হবে প্রধানমন্ত্রী আর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী করা হবে মাহমুদুর রহমান মান্নাকে। এই পদগুলোর লোভ সামলাতে না পেরে ‘বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য’ নিয়ে দৌঁড়াচ্ছেন এসব বৃদ্ধ নেতারা।