স্টাফ রিপোর্টার::
সুনামগঞ্জের ছাতকে মাদ্রাসা শিক্ষক কর্তৃক এতিম তরুণী ধর্ষণের ঘটনায় প্যানেল আইনজীবী নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে সুনামগঞ্জ জেলা মহিলা পরিষদ। শনিবার ছাতকের আমেরতল গ্রামে গিয়ে ভিকটিম পরিবার ও এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে ধর্ষণের সত্যতা পান পরিষদের নেতৃবৃন্দ। এ ঘটনায় ভিকটিম পরিবার আজ রোববার ছাতক থানায় হাসনাবাদ মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা আব্দুল হকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করবে বলে মহিলা পরিষদকে জানিয়েছে।
মহিলা পরিষদের সভানেত্রী গৌরী ভট্টাচার্য্যরে নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে ছিলেন এডভোকেট বিপ্লব ভট্টাচার্য্য, এডভোকেট রজত কান্তি দাস, মহিলা পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক পঞ্চালি চৌধুরী, অর্থ সম্পাদক মল্লিকা দাস, আইন বিষয়ক সম্পাদক রাশেদা বেগম, কার্যকরি কমিটির সদস্য মাজেদা আক্তারসহ সাংবাদিকরাও প্রতিনিধি দলে ছিলেন।
জানা গেছে প্রতিনিধি দল ছাতকের নয়া লম্বাহাটি গ্রামের নির্যাতিত তরুণী, তার ভাই ও তার বর্তমান স্বামীর পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন। তরুণীর প্রবাসীর স্বামীর সঙ্গেও যোগাযোগ করেন পরিষদের নেতৃবৃন্দ। এসময় প্রবাসী স্বামী মাওলানা আব্দুল হকের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরে মহিলা পরিষদের সহায়তা চান। এক পর্যায়ে মামলা করতে ছাতক থানায় রওয়ানা হলে মাওলানা হাসান নামের এক ব্যক্তি ভিকটিম নারীকে ফিরিয়ে নিয়ে আগামীকাল মামলা করবেন বলে মহিলা পরিষদ নেতৃবৃন্দকে বিদায় করে দেন।
এদিকে বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় এই ধর্ষণের খবর প্রকাশিত হওয়ার পর মাদ্রাসা কৃর্তপক্ষ মাওলানা আব্দুল হককে মাদ্রাসা থেকে বহিষ্কার করেছে। এলাকবাসী এ ঘটনায় ঘৃণা জানিয়ে তার কঠিন শাস্তি দাবি করেছেন।
মহিলা পরিষদ সভানেত্রী গৌরী ভট্টাচার্য্য বলেন ভিকটিম ও তার পরিবার আমাদের প্যানেল আইনজীবী ও প্রতিনিধি দলের সঙ্গে কথা বলেছেনল। তারা ধর্ষক আব্দুল হকের এই জঘন্য ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে তার বিচার চেয়েছেন এবং মামলা করতে রাজি হয়েছেন। আজ তারা ছাতক থানায় মামলা দায়ের করবেন বলে আমাদের জানিয়েছেন। মামলা নিয়ে দ্রুত আসামীকে গ্রেফতারের জন্য আমরা পুলিশ সুপার ও ছাতক থানার ওসিকে অনুরোধ করেছি।