হাবীবুল্লাহ হেলালী, দোয়ারাবাজার::
দোয়ারাবাজার উপজেলার সীমান্তে ভাঙ্গাপাড়া ও মাঠগাঁও এলাকার খাসিয়ামারা নদীর মোহনা এ যেন প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য্যের এক লীলা ভূমি। পর্যটন বিমুখ নদীর ওই মোহনার তিন দিকে বাংলাদেশের সীমানায় রয়েছে ছোট বড় টিলা ও সমতুল ভূমি। উত্তর প্রান্তে দাঁড়িয়ে আছে ভারতের সুউচ্চ কালো পাহাড়। খাসিয়ামারা নদীর পশ্চিম তীরে অবস্থিত মাঠগাঁও গ্রাম। ওই গ্রামে রয়েছে অসংখ্য সুউচ্চ টিলা ও ঘনবসতি। পূর্ব তীরে বেশ কয়েকটি টিলার ফাঁকে ফাঁকে সমতলে ফসলি জমির সবুজ দৃশ্য যেন মন ছুঁয়ে যায়। এছাড়া চারি দিকে সারি সারি গাছ পালা, সবুজের সমারোহ, আঁকা বাঁকা নদী পথ যেন প্রকৃতিকে হাত ছানি দিয়ে ডাকছে। পরন্ত বিকেলে টিলার উপর দাঁড়িয়ে সমতল ভূমির দিকে তাকালে বুঝা যাবে উন্নত বিশ্বের কোনো এক জায়গায় অবস্থান করছি।
অন্যদিকে উজান থেকে নেমে আসা নদীতে দুই দেশের সীমানায় নুড়ি পাথর আহরেণের দৃশ্য প্রশান্তি অনুভ’ত হয়। টিলার উপর থেকে দেখা যাবে ভারত সীমান্তে কাঁটা তারের বেড়ার ওপারে সীমান্ত রক্ষী বিএসফের কড়া নজর দারি। ভারতের কালো পাহাড়ে পাখপাখালীর কিচির মিচির শব্দে আরো মোহনীয় করে তোলে এখানকার পরিবেশকে। ভোরে ও পরন্ত বিকেলে নদীর উজানে ভারতের সীমানায় সেখানকার বাসিন্দাদের মাছ আহরণের দৃশ্য মন ভরে যায় আগন্তক পর্যটকদের।
আসন্ন ঈদুল আযহার ছুটিতে ঘুরে আসতে পারেন উপজেলা সীমান্তের সম্ভাবনাময়ী পর্যটন এলাকা ও খাসিয়ামারা নদীর নান্দনিক ওই মোহনায়। উপজেলা সদর থেকে মোটর বাইকে লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের লেয়াকতগঞ্জ (পশ্চিম বাংলাবাজার ) হয়ে মাঠগাঁও সীমান্তে ও উপজেলা সদর থেকে বোগলাবাজার হয়ে ভাঙ্গাপাড়া সীমান্তে যাওয়া যাবে।
উপজেলার ওই পর্যটন স্পটটি এখনো সবার কাছে পরিচিত হয়ে ওঠেনি। প্রতিদিন স্থানীয়রা প্রকৃতির নি:শ্বাস নিতে সময়ে সময়ে নদীর ওই মোহনায় ভীড় জমালেও দূর দূরান্ত থেকে আসা পর্যটকদের তেমন সমাগম হয়না। স্থানীয়রা বলেছেন, প্রতি বছর ঈদে ও বিশেষ দিবসে পর্যটকদের ভীড় জমে এখানে। তবে যাতায়াত ব্যবস্থা উনুন্নত হওয়ায় দূর থেকে পর্যটকরা আসতে চায়না। এছাড়া উপজেলা সীমান্তে আগন্তকদের সুবিধা মতো দোকান পাট ও পানাহারের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় বিপাকে পড়তে হয় সবাইকে। উপজেলা সদর থেকে আসা যাওয়ার যাতায়াত সড়ক গুলো পাকা করণ ও সংস্কার করা হলে সময়ের ব্যবধানে ওই অঞ্চলটি উপজেলার অন্যতম নান্দনিক পর্যটন স্পট হিসেবে গড়ে উঠবে।