স্টাফ রিপোর্টার ::
জগন্নাথপুরের রানীগঞ্জ কুশিয়ারা সেতুর নির্মাণ কাজের মেয়াদ ১ বছর বাড়ানো হয়েছে। সেই সাথে বৃদ্ধি করা হয়েছে নির্মাণ ব্যয়। আরো ১৫ কোটি টাকা নির্মাণ ব্যয় বাড়ানো হয়েছে। আগের ১২৬ কোটি টাকার মধ্যে ১৫ কোটি টাকা ব্যয় বাড়িয়ে বর্তমানে তার নির্মাণ ব্যয় দাড়িয়েছে ১৪১ কোটি টাকা।
কাজের প্রথম দিকে ধীর গতিতে চললে ও বর্তমানে দ্রুত গতিতে চলছে। ব্রীজের নির্মাণ কাজ ২০১৯ সালের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও ঠিকাদারদের আবেদনের প্রেক্ষিতে সময় বাড়নো হয়েছে আরো এক বছর।
এলাকাবাসীর দাবির প্রেক্ষিতে সুনামগঞ্জ-৩ আসনের এমপি অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম.এ মান্নানের প্রচেষ্টায় ২০১৬
সালেএ সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়।
গত ২০১৭ সালে জানুয়ারী মাসে আনুষ্ঠানিকভাবে সেতুর নির্মাণ কাজের শুভ উদ্ধোধন করেন সড়ক ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, ৭০২ মিটার দৈর্ঘ্যর, ১০.২৫ মিটার প্রস্থ সেতুটির ১৫ টি ¯েপনের মধ্যে ১১টি ¯েপন স¤পন্ন হয়েছে। ১৬টি পিলারের মধ্যে ১০টির কাজ স¤পন্ন হয়েছে।
সেতুটির কাজের দ্বায়িত্ব যৌথভাবে পায় চায়নিজ কো¤পানি চায়না রয়েল ও বাংলাদেশী ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এমএম বিল্ড্যাস ইঞ্জিনিয়ারিং
এব্যাপারে স্থানীয় এমপি অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নানের বলেন, এটি হচ্ছে সিলেট বিভাগের সবচেয়ে বড় সেতু। এ সেতুটি নির্মিত হলে যোগাযোগ ব্যবস্থায় নতুন দীগন্তের সূচনা হবে।
মন্ত্রী বলেন, ব্রীজটির নির্মাণ কাজ স¤পন্ন হলে এলাকাবাসী কম সময়ে ঢাকা যাতায়াত করতে পারবেন। এলাকায় কর্মসংস্থান তৈরি হবে। অর্থনৈতিক প্রসারতা বৃদ্ধি পাবে।
সুনামগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, নিয়ম অনুযায়ী উন্নতমানের সামগ্রী দিয়ে সেতুটির নির্মান কাজ চলছে। নকশা পেতে আমাদের বিলম্ব হয়েছে তাই কাজ শুরু হতে বিলম্ব হয়েছে।
উল্লেখ, সুনামগঞ্জের মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল রানীগঞ্জ কুশিয়ারা নদীতে ব্রীজ নির্মান। এ ব্রীজ নির্মান করা হলে অত্র এলাকার মানুষ কম সময়ে ঢাকায় যাতায়াত করতে পারবে। বর্তমানে যেখানে ৭-৮ ঘন্টা সময় লাগে ব্রীজটি নির্মান হলে অনেক কিলোমিটার রাস্তা কমে আসবে।