স্টাফ রিপোর্টার
সুনামগঞ্জ পৌর ডিগ্রি কলেজের ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক মো. উসমান গনী (৩০) এক নারীকে যৌন নীপীড়ন করায় এলাকাবাসী তাকে ধরে উত্তম মধ্যম দিয়ে পুলিশে ধরিয়ে দিয়েছে। এ ঘটনায় ওই প্রভাষকের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের মামলা দায়ের করেছেন ওই তরুণী। মামলায় তাকে ও তার এক সহযোগীকে জেল হাজতে পাঠিয়েছেন আদালত। উল্লেখ্য উসমান গণি একজন বিতর্কিত শিক্ষক হিসেবে পরিচিত। একটি কোচিং সেন্টারেও ছাত্রীদের যৌন নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। উসমান গণি দোয়ারাবাজার উপজেলার এরুয়াখাই গ্রামের বাসিন্দা। এখন সুনামগঞ্জ শহরের ময়নার পয়েন্টের বসবাস করছেন। তিনি ছাত্র শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে।
বুধবার দুপুরে শহরের একজন নারীর লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে গ্রেফতারের পর বৃহস্পতিবার তাঁকে আদালতে হাজির করলে আদালত তাঁর জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। একই মামলায় গ্রেফতারকৃত প্রভাষক মো. উসমান গনীর এলাকার ফতেপুর গ্রামের বাসিন্দা হোমিও চিকিৎসক মির্জা আব্দুল আজিজ (৩৯) কেও জেল হাজতে পাঠিয়েছেন আদালত।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সদর মডেল থানার এসআই সোহেল রানা জানান, বুধবার দুপুরে ওই নারী শহরের বনানীপাড়া ধানসিড়ি ৩৫/২ ঠিকানার মির্জা আব্দুল আজিজের ‘মির্জা ফার্মেসী’তে চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করতে যান। এসময় ওই ফার্মেসীতে বসা ছিলেন সুনামগঞ্জ পৌর ডিগ্রি কলেজের ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক মো. উসমান গনী। দু’জন ওই নারীর রোগের বর্নণা শুনেন। কিছুক্ষণ পর মির্জা আব্দুল আজিজ ফার্মেসী থেকে বের হয়ে গেলে প্রভাষক মো. উসমান গনী ওই নারীকে যৌন নিপীড়ন করেন। ভয়ে ওই নারী চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন এসে প্রভাষক উসমান গনীকে আটক করে উত্তম মধ্যম দিয়ে পুলিশকে খবর দিয়ে ধরিয়ে দেন। তাকে গ্রেফতারের পর একটি চক্র বিষয়টি গোপন রেখে ছাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলেও সফল হয়নি। পুলিশ ওইদিন ঘটনাস্থল থেকে অভিযোগকারী নারীসহ প্রভাষক উসমান গনীকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। পরে ওই নারী বাদী হয়ে প্রভাষক উসমান গনী ও চিকিৎসক মির্জা আব্দুল আজিজের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর চিকিৎসক মির্জা আব্দুল আজিজকে পুলিশ গ্রেফতার করে। পরে বৃহস্পতিবার দুই অভিযুক্তকে আদালতে সোপর্দ করলে আদালত তাদের জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
সদর থানার ওসি মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ বলেন, ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে আরো নানা অভিযোগ আছে। এলাকাবাসী ওই শিক্ষককে একজন নারীকে যৌন নির্যাতন করায় ধরিয়ে দিয়েছেন। পরে ওই নির্যাতিত নারী তার বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। আমরা তাকে আদালতে পাঠানোর পর আদাল তাতে জেল হাজতে পাঠিয়েছেন।