স্টাফ রিপোর্টার::
খেলার মাঠসহ সরকারি ভূমি দখল করে ব্যবহারসহ স্থাপনা তৈরির খবর শুনে অভ্যস্থ সবাই। দখলবাজদের কবল থেকে সরকারি ভূমি বা খেলার মাঠ উদ্ধার নিয়ে হামলা-মামলার ঘটনা ঘটে প্রতিনিয়ত। এ নিয়ে পত্রপত্রিকায় নিয়মিত সংবাদও প্রকাশিত হয়। কিন্তু স্বেচ্ছায় দখলকৃত খেলার মাঠ ছেড়ে দেওয়ার নজির খুব কমই দেখা যায়। গ্রামীণ যুবকদের আহ্বানে স্বেচ্ছায় খেলার মাঠ ছেড়ে দিয়েছেন মোহনপুর গ্রামের কয়েকজন ব্যক্তি। গ্রামবাসীর সামনে তারা খেলার মাঠের দখল পজিশন ছেড়ে নিজেরাই খুটি দিয়ে সীমানা করে দিয়েছেন। এতে খুশি হয়েছেন গ্রামের ক্রিড়ামোদী লোকজন। খেলাধুলার বিকাশে এই মাঠ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন তারা।
জানা গেছে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার মোহনপুর গ্রামে সরকারি কোন খেলার মাঠ নেই। যে কারণে গ্রামের তরুণরা খেলাধুলা থেকে বঞ্চিত রয়েছে। গত ‘মোহনপুর যুব কল্যাণ পরিষদ’ নামের একটি যুব সংগঠন এলাকায় খেলাধুলা চর্চার উদ্যোগ নেয়। মাদকসহ নানা অপরাধপ্রণবণতা থেকে তরুণদের ফেরাতে তারা নানা উদ্যোগ নেয়। ওই সংগঠনটি গ্রামের দক্ষিণের হাওর লাগোয়া সরকারি দখলকৃত জায়গায় খেলাধুলা করে আসছিল। ইতোমধ্যে অন্তত ১০টির মতো কুস্তিখেলা অনুষ্টিত হয়েছে এই মাঠে। কিন্তু যারা দীর্ঘদিন ধরে সরকারি ভূমি ভোগ দখল করে আসছিলেন তাদেরকে ভূমিটুকু ছাড়ার অনুরোধ জানায় মোহনপুর যুবকল্যাণ পরিষদ। এই আহ্বানে স্বেচ্ছায় সাড়া দিয়ে খেলার জন্য মাঠটি ছেড়ে দেন মালিকরা।
এ উপলক্ষ্যে শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর গ্রামের নবীন-প্রবীনদের সাথে নিয়ে মোহনপুর যুব কল্যাণ পরিষদ এর সদস্যরা সরেজমিনে গিয়ে মাঠের জায়গা চিহ্নিত করেন। ভূমি মালিকগণের নির্দেশনা অনুযায়ী চতুঃসীমা নির্ধারণ করে খুটি বসিয়ে দেন। ভূমি মালিক আব্দুর রহমান, কালা মিয়া, শামীম আহমদ সাপিজ, আফিজ, বুধু মিয়া, মাসুক মিয়া গংসহ কয়েকজন গ্রামের যুবকদের আহ্বানে সাড়া দিয়ে মাঠের দখল ছেড়ে খেলাধুলার মাঠ হিসেবে সীমানা চিহ্নিত করে দিয়েছেন।
সীমানা চিহ্নিত করনের সময় উপস্থিত ছিলেন, মোহনপুর শালিস কমিটির সভাপতি মোঃ মুছন আলী, সদস্য কাজী শামসুল হুদা সুহেল, আব্দুর রহমান, ইউপি সদস্য শামসুন্নুর, মহিলা ইউপি সদস্য স্বপ্না বেগম, জমসিদ আলী, মোহনপুর যুব কল্যাণ পরিষদের সভাপতি মোঃ রইসুজ্জামান, সাদারণ সম্পাদক মোঃ সেলিম, সদস্য তাজউদ্দিন, রাজু মিয়া, মিজানুর রহমান, মির্জা মিয়া, জাহির আলী, আনোয়ার আলী, শানুর মিয়া, শাহজাহান মিয়া, মঈনুল ইসলাম, রহমত আলী, স্বাধীন মিয়া প্রমুখ৷