জাকির হোসেন রাজু, বিশ্বম্ভরপুর::
পবিত্র ঈদুল আযহার আর এক সপ্তাহও বাকি নেই। কিন্তু এর মধ্যেও জমে উঠেনি ঈদের কেনাবেচা। বিশ্বম্ভরপুরে ছোট বড় দোকান গুলো অনেকটাই ক্রেতাশুন্য। নির্ধারিত মূল্যের অর্ধেক ছাড় দিয়েও খরা কাটছে না কেনাকাটায়। ব্যাবসায়ীরা বলছেন কোরবানির ঈদে এমনিতেই ক্রেতা সমাগম কম হয়। সবাই ছুটে পশুর হাটে। তারপরও ঈদের বাকি দিনগুলো নিয়ে আশাবাদী তারা। বলছেন এরই মধ্যে রোজার ঈদের তুলনায় কম হলেও ক্রেতার দেখা পাবেন তারা।
ঈদুল আযহার প্রধান আকর্ষন কোরবানীর পশুর দাম এবার গত কয়েক বছরের তুলনায় বেশী হওয়ায় অনেকেই এখনো কোরবানীর পশু কিনতে পারেননি।
অপরদিকে কাপড়ের দোকানগুলোতে ব্যবসায়ীরা প্রচুর মালামাল এনে দোকানে সাজিয়ে রাখলেও কাঙ্খিত বিক্রি হচ্ছে না। দুই-একটি দোকান ছাড়া অধিকাংশ দোকানেই আশানুরূপ বিক্রি নেই। ফুটপাতের কাপড়ের দোকানেও বেচাকেনা জমেনি। কাপড় জুতা ও প্রসাদনীতে এবার মন্দা ভাব থাকলেও বাধ্য হয়ে কোরবানীর পশুর রান্নার সরঞ্জামের দোকানগুলোতে ভীড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কোরবানির পশু জবাইয়ের জন্য দা, ছুরি কিনতে কামারদের দোকানেও ভীড় জমেছে। সেই সাথে মসলার দোকানগুলোতে জমজমাট বেচাকেনা হচ্ছে।
উপজেলার পলাশ বাজারের নিপু গার্মেন্টসের মালিক আব্দুল কালাম আজাদ, সদরের বৃষ্টি টেইর্লাসের বিনয় বাবু, সিটি ডিপার্টমেন্টের কবির হোসেন বলেন, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবছর বেচাকেনা খুবই কম।
একই উপজেলার ধনপুর বাজারের শওকত গার্মেন্টসের মালিক শওকত মিয়া বলেন, গত বছরের তুলনায় এ বছর বেচাকেনা নেই বললেই চলে। তবে শেষ মুহুতে কিছুটা হলেও বেচাকেনা হবে মনে করেন তিনি ।
উপজেলার শক্তিয়ার খলা বাজারের মাজেদ ডির্পারমেন্টাল ষ্টোরের জাবেদ আহমেদ জানান, কৃষকদের অবস্থাও বেশী ভালো নেই। তাছাড়া যাদুকাটা নদীর মধ্যে কাজ না থাকায় বেচাকেনা নেই ।
একই বাজারের জহির স্মাট ফ্যাশনের মালিক জাকির হোসেন জানান, এখনও কেনাকাটা খুব একটা নেই। তবে আগামী দুদিনে হয়তো কিছু বিক্রি হবে বলে আশা করছি।
শক্তিয়ার খলা বাজারের ফুটফাতের ব্যবসায়ী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, নিম্ন আয়ের লোকজনের পক্ষে দুই ঈদে কেনাকাটা করা কষ্টসাধ্য হওয়ায় এবার ঈদে তেমন কাপড়ের বিক্রি নেই। শেষ মুহুতে এসে কিছু কেনাকাটা হবে বলে মনে হচ্ছে। ফুটফাতের অন্যান্য দোকান ঘুরেও খুব জমজমাট বিকিকিনির পরিবেশ দেখা যায়নি। একই অবস্থা বড় বড় বিপনী বিতানগুলোর। সব মিলিয়ে বিশ্বম্ভরপুরে এবার ঈদের বাজার ভালো নেই।