বিশেষ প্রতিনিধি::
সুনামগঞ্জের ৫টি আসনে বিএনপিতে প্রতি আসনে একাধিক মনোনীত প্রার্থী থাকার পরও মনোনয়ন প্রত্যাশীরা ছিটকে পড়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন। এই তুলনায় অনেকটা নির্ভার বিএনপি। এছাড়া মহাজোটের শরিক দল জাতীয় পার্টিতেও একাধিক প্রার্থী স্বতন্ত্র মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। প্রতিটি আসনে জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থীরা মনোনয়ন দাখিল করেছেন আলাদাভাবে।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুনামগঞ্জের ৫টি আসনের ৩২জন প্রার্থী জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। এছাড়াও আরো ১৯ জন প্রার্থী বিভিন্ন উপজেলায় মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। বুধবার বেলা ৫টা পর্যন্ত বিভিন্ন দলের প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা দেন।
সুনামগঞ্জ-১ (জামালগঞ্জ, তাহিরপুর ও ধর্মপাশা) আসনে বিএনপির মনোনয়ন বঞ্চিত জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ডা. রফিক চৌধুরী বিকল্পধারা থেকে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। ২০ দলীয় জোটের শরিক দল ইসলামী আন্দোলন প্রার্থী মুফতি ফখর উদ্দিন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম প্রার্থী মোস্তাক আহমদ বাবুলও প্রার্থী হয়েছেন। এই আসনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী নেই।
সুনামগঞ্জ-২ আসনে বিএনপির মনোনীত দুই প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। বিএনপির মনোনয়ন বঞ্চিত মাহমুদ হাসান চৌধুরী রানা মুসলিম লীগ থেকে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। এখানে আওয়ামী লীগের একাধিক শক্তিশালী প্রার্থী মনোনয়ন পত্র কিনলেও শেষ পর্যন্ত জমা দেননি। তাই এই আসনেও কোন বিদ্রোহী প্রার্থী নেই।
সুনামগঞ্জ-৩ আসনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট (জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম) মাওলানা শাহীনুর পাশা চৌধুরী, জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট (গণফোরাম) মো. নজরুল ইসলাম, বিএনপি মনোনয়ন বঞ্চিত স্বতন্ত্র প্রার্থী এম. এ ছাত্তার, বিএনপির মনোনয়ন বঞ্চিত প্রার্থী আশরাফুল ইসলাম সুমন, বিএনপির মনোনয়ন বঞ্চিত স্বতন্ত্র প্রার্থী রফিকুল ইসলাম খসরু, বিএনপির মনোনয়ন বঞ্চিত ইসলামি ঐক্যজোট প্রার্থী সৈয়দ আলী আহমদ ও ঐক্যফ্রন্টের শরিক দল এলডিপি মনোনীত প্রার্থী মাহবুবুর রহমান খালেদ মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। এই আসনে বিএনপি প্রার্থীদের ছড়াছড়ি লক্ষ্যণীয়। এই আসনে আওয়ামী লীগের কোন বিদ্রোহী প্রার্থী নেই। ফলে নির্ভার আছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এমএ মান্নান।
সুনামগঞ্জ-৪ আসনে মহাজোটের মনোনীত প্রার্থী ও জাতীয় পার্টি নেতা এডভোকেট পীর ফজলুর রহমান মিসবাহর সঙ্গে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন জাতীয় পার্টির মনোনয়ন বঞ্চিত মেজর ইকবাল পুত্র ইনান চৌধুরী ও জাতীয় পার্টি নেতা কামরুজ্জামান। এই আসনে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মতিউর রহমান স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। এই আসনে বিএনপির দুইজন প্রভাবশালী প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট (জাসদ রব) মনোনীত প্রার্থী দেওয়ান ইস্কন্দর রাজা চৌধুরী, বিএনপি মনোনয়ন বঞ্চিত স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. রাজু আহমদ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস মনোনীত প্রার্থী মুফতি আজিজুল হক। এই আসনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের একাধিক প্রার্থী রয়েছেন।
সুনামগঞ্জ-৫ আসনে নির্ভার আওয়ামী লীগ প্রার্থী মুহিবুর রহমান মানিক। আওয়ামী লীগের কেউ বিদ্রোহী হননি এই আসনে। বিএনপির দুই মনোনীত প্রভাবশালী প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিলেও ২০ দলীয় জোটের শরিক দল খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রিয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মুহাম্মদ শফিক উদ্দিন মনোনয়ন জমা দিয়েছেন।