স্টাফ রিপোর্টার::
সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক এমপি কলিম উদ্দিন আহমদ মিলনকে দলীয় মনোনয়ন না দেয়ার প্রতিবাদে শনিবার বিকাল ৩টায় ছাতক উপজেলা বিএনপি কার্যালয়ের সম্মুখে প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করেন মিলন সমর্থকরা।
হাইকমান্ডের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা না হলে গণপদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত ছিল তাদের।
শেষ পর্যায়ে সমাবেশস্থলে এসে বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে ঐক্যের আহ্বান জানিয়ে বক্তৃতা দিতে শুরু করেন মিলন। তার আবেগঘন বক্তৃতা শোনে কান্নায় ভেঙে পড়েন নেতাকর্মীরা। কর্মীদের কান্না দেখে কাঁদেন নিজেও।
সুনামগঞ্জ-৫(ছাতক-দোয়ারাবাজার)আসনের বিএনপি’র মনোনয়নবঞ্চিত তিনবারের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা বিএনপির সভাপতি কলিম উদ্দিন আহমদ মিলনকে দলীয় মনোনয়ন না দিলেও তার বিক্ষুব্ধ কর্মীদের শান্তনা দিয়ে দেশ ও দলের বর্তমান পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে আবেগঘন বক্তৃতা দিয়ে সকলকে ধানের শীষের পক্ষে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
এ সময় বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা শহরে বিক্ষোভ মিছিল বের করতে চাইলে মিছিলের গতিরোধ করতে রাস্তায় বসে পড়েন মনোনয়নবঞ্চিত কলিম উদ্দিন মিলন। রাস্তায় গড়াগড়ি খেয়ে তিনি তাদের নিবৃত্ত করেন।
তিনি তার অনুসারীদের উদ্দেশ্যে বলেন,আপনাদের প্রত্যাশা ছিল নির্বাচনে আমাকে যাতে মনোনয়ন দেওয়া হয়। কিন্তু সেটা না হওয়ায় আপনারা আজ দুঃখ ভারাক্রান্ত। আমি সকলের কাছে করজোড়ে অনুরোধ করে বলছি,দেশনেত্রী খালেদা জিয়া কারাগারে,তারেক রহমান নির্বাসনে। এই পরিস্থিতে প্রার্থী যাকেই করা হোক না কেন সারা বাংলাদেশেই খালেদা জিয়াকে ধানের শীষের প্রার্থী মনে করতে হবে। এই দুঃসময়ে দেশ ও দলকে বাঁচাতে হবে।’
এরপর বিকেলে কলিম উদ্দিন আহমদ মিলন অসুস্থ হয়ে পড়লে সিলেট আল হারামাইন হাসপাতালে এসে তিনি চিকিৎসার জন্য ভর্তি হন। তার অসুস্থতার খবর পেয়ে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক সহ তাঁকে সিলেট, সুনামগঞ্জ ও ছাতকের দলীয় নেতাকর্মীরা তাকে রাতে দেখতে হাসপাতালে যান।