জাকির হোসেন রাজু, বিশ্বম্ভরপুর ::
সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার যাদুকাটা নদীর উপর নির্মিত দেশের সর্ব বৃহৎ মিছাখালী রাবার ড্যামে পবিত্র ঈদুল আযহার প্রথম দিন থেকেই দর্শনার্থীদের ঢল নেমেছে। বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ কর্ম জীবনের ব্যস্ততা কাটিয়ে, শত বাধা বিপত্তি উপেক্ষা করে নাড়ির টানে বাড়ি ফেরেছেন। এই মানুষরাই আবার একটু অবসর পেয়ে বাড়ির কাছে আরশি নগর দেখতে বেড়িয়েছেন। বিভিন্ন এলাকা হতে আসা ভ্রমণপিপাসু মানুষগুলো যেন নতুন জীবন ফিরে পেয়েছে এখানে এসে। ঈদের নামাজ শেষে দুপুর হতে না হতেই মিছাখালী রাবার ড্যাম এলাকায় হাজারো দর্শনার্থীর উপস্থিতি যেন তাই বলে দেয়।
পরিবার পরিজন নিয়ে ভ্রমণপ্রিয় মানুষদের মিলন মেলায় ভরপুর মিছাখালী রাবার ড্যাম এলাকা। তবে রোদের জন্য এখানে দর্শনার্থীদের আশ্রয়কেন্দ্র না থাকায় তাদের পড়তে হয়েছে চরম বিপাকে। এখানে শিশু থেকে শুরু করে, যুবক-যুবতী, তরুণ-তরুণী, বৃদ্ধ-বৃদ্ধা, গরিব-ধনী, ছাত্র-ছাত্রীসহ সকল বয়সের ও সর্বস্তরের মানুষদের এ যেন সত্যিই এক মিলন মেলায় পরিণত হয়েছে।
তাহিরপুর থেকে ঘুরতে আসা সোহেল ভ্রমণপিপাসু ,বাদাঘাটের কোনাট থেকে ঘুরতে আসা ফয়সাল, সদরের লাল পুর থেকে ঘুরতে আসা আ:হালিম ও তার বন্দুরা জানান, নামাজ শেষ করেই আমরা বন্ধুরা মোটর সাইকেল করে মিছাখালী রাবার ড্যাম দেখার উদ্দেশ্যে বেরিয়েছি। এখানে এসে রাবার ড্যামও দেখা হয়েছে আবার বন্ধুরা মিলে সেলফি তোলা, ছুটা-ছুটি, নদীর পাড়ে বসে আড্ডাসহ বেশ হৈ হুল্লড় করে অনেক মজাও করেছি। মিছাখালী রাবার ড্যামটি সত্যিই বেশ উপভোগ করার মতই।
কিশোরগঞ্জ জেলা থেকে ঘুরতে আসা আলমগীর হোসেন জানান, আমরা পরিবারের অন্যান্যদের সঙ্গে এখানে এসেছি মিছাখালী রাবার ড্যাম,তাহিরপুর উপজেলার লাউড়ের শাহ আরফিন (র:) এর মাজার, বারিকের টিলা,টাঙ্গয়ার হাওরসহ বিশ্বম্ভরপুরও তাহিরপুর উপজেলার দর্শনীয় স্তান গুলো ঘুরে ফিরে দেখার জন্য। মজা করে ঘুরে বেড়ানোর জন্য। সত্যি এখানে অনেক ভালো লাগছে আমাদের । দীর্ঘক্ষণ নৌকা ভ্রমণ করাসহ কাছ থেকে পাহাড় দেখা। চারিদিক ঘুরে অনেকটা তৃপ্তি পেয়েছি।
রাবার ড্যাম এলাকার বাসীন্দা আনোয়ার মাষ্টার (৩১) দিলোয়ার ভুঁইয়া (৩০) গোলাম মেরাজ (৩২), কাউছার আলম (২২) সহ একাধিক বাসিন্দা বলেন, শুধু ঈদেই নয়, বিশেষ কিছু দিন ও দিবসে, যেমন-নববর্ষ, পুজাঁ,বিজয় দিবস সহ প্রায় সারা বছরই এখানে মাঝে মধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ঘুরেতে আসেন ভ্রমণপিপাসুরা ।