হাওর ডেস্ক ::
সিলেটে সিরিজের প্রথম ম্যাচে বাজেভাবে হেরে পিছিয়েছিল স্বাগতিক বাংলাদেশ। ক্যারিবীয় বোলারদের বুদ্ধিদীপ্ত শর্ট বলের ফাঁদে পড়েই মূলত ম্যাচ হেরেছিল টাইগাররা। সিরিজে সমতা ফেরাতে তাই মরিয়া হয়ে শর্ট বল মোকাবেলার প্রস্তুতি নিয়েছিল। আর সেটার ফলও হাতেনাতেই পেয়েছে লিটন, সৌম্য ও সাকিবরা। মিরপুরে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে রান পাহাড় গড়ে ৩৬ রানে ম্যাচ জিতে সমতায় ফিরেছে বাংলাদেশ।
তামিম, মুশফিকের ব্যাটে রান আসলেও বাংলাদেশের স্কোর বোর্ডে তার প্রভাব পড়েনি। কেননা লিটনের ফিফটি এবং সাকিব-রিয়াদের বড় জুটি দলকে এনে দিয়েছিল পাহাড়সম সংগ্রহ। টাইগারদের ২১১ রানের জবাবে সফরকারীরা ১৭৫ রানেই গুটিয়ে যায়। ফলে ৩৬ রানের জয়ে সিরিজে সমতা এনেছে বাংলাদেশ। সিরিজের শেষ ম্যাচ অঘোষিত ফাইনালে রূপ নিয়েছে। ২২ ডিসেম্বর শেষ ম্যাচ এই মাঠেই অনুষ্ঠিত হবে।
শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে আজ শুরুতে ব্যাটিং করে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে নিজেদের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান করেছিল সাকিব আল হাসানের দল। গত মে মাসে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ২১৫ রান করা বাংলাদেশ ২০ ওভারে এদিন তুলেছিল ২১১ রান। দলের হয়ে ঝড়ো ইনিংস খেলেন লিটন, সৌম্য, সাকিব ও মাহমুদউল্লাহ। ৩৪ বলে ৬টি চার ও ৪টি ছক্কায় সর্বোচ্চ ৬০ রান করেন লিটন। সাকিব ২৬ বলে ৪২ এবং মাহমুদউল্লাহ ২১ বলে ৪৩ রানে অপরাজিত থাকেন। শেষ ৭ ওভারে এই জুটি ৯১ রান করেছিল।
২১২ রানের বিরাচ লক্ষ্যে খেলতে নেমে এভিন লুইস ও শাই হোপ দারুন শুরুর বার্তা দিয়েছিলেন। কিন্তু সেটা বিপজ্জনক হয়ে ওঠার আগেই লুইসকে ফেরান আবু হায়দার। এরপর ক্যারিবীয় শিবিরে আঘাত হানা শুরু করেন সাকিব আল হাসান। তুলে নেন টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে নিজের প্রথম পাঁচ উইকেট। তবে শাই হোপ ও রোভম্যান পাওয়েল আতঙ্ক ছড়িয়েছিলেন। পাওয়েল ৩৪ বলে ৫০, হোপ ১৯ বলে ৩৬ এবং কেমো পল ২৯ রান করেন।
তবে মিস ফিল্ডিং ও পেসারদের বাজে বোলিং টাইগার শিবিরে ভীতি ছড়িয়েছিল। কেননা মোস্তাফিজের প্রথম ওভারে যখন ২৪ রান এলো তখনই মনে হলো হয়তো হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছে ম্যাচ। কিন্তু সাকিবের ঘূর্ণিতে লক্ষ্যে পৌছানোর আগেই গুটিয়ে যায় ব্র্যাথওয়েটের দল।
ক্যারিয়ার সেরা ফিগার গড়ার পথে সাকিব ৪ ওভারে ২১ রানে ৫টি উইকেট নেন। এছাড়া মোস্তাফিজ ২ এবং আবু হায়দা, মিরাজ ও মাহমুদউল্লাহ ১টি করে উইকেট নেন। ব্যাট হাতে ২৬ বলে ৪২ রান এবং বল হাতে ৫ উইকেট শিকারি সাকিবকে ম্যাচ সেরা নির্বাচন করতে দ্বিতীয়বার কাউকে ভাবতে হয়নি।