স্টাফ রিপোর্টার ::
তাহিরপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান কামরুল বলেছেন, টাঙ্গুয়ার হাওর আমাদের তাহিরপুর তথা সুনামগঞ্জবাসীর সম্পদ। এটিকে রক্ষা করার দায়িত্ব সকলের। আজ টাঙ্গুয়ার হাওরে গাছ, মাছ নেই। এতোদিন টাঙ্গুয়ার হাওরে ব্যবস্থাপনার নামে অব্যবস্থাপনা হয়েছে। টাঙ্গুয়াকে টিকিয়ে রাখতে এবং ইকোট্যুরিজম হিসেবে গড়ে তুলতে গণমাধ্যমকর্মীদের এগিয়ে আসতে হবে। এই পর্যন্ত টাঙ্গুয়ার যতটুকু প্রচার ও প্রসার হয়েছে এর ৯০ভাগ মিডিয়া কর্মীদের লেখালেখির মাধ্যমে সম্ভব হয়েছে।
গতকাল রোববার সন্ধ্যায় শহরের একটি রেস্টুরেন্টে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তাহিরপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান কামরুল উপর্যুক্ত কথাগুলো বলেন।
টাঙ্গুয়ার হাওরে দুইদিন ব্যাপী জ্যোৎ¯œা উৎসব পরবর্তী এ মতবিনিময় সভায় সাংবাকিদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বলেন, হাওরে জোছনা উৎসবের মাধ্যমে টাঙ্গুয়ার ব্যাপক প্রচার হয়েছে। জ্যোৎ¯œা উৎসব দেশি-বিদেশি পর্যটকদের দৃষ্টি কেড়েছে। দলমতের ঊর্ধ্বে উঠে এসে এই উৎসবে সকলে শামিল হয়েছেন এবং সহযোগিতা করেছেন। তবে কিছুটা ত্রুটি থাকতেই পারে। উৎসবে পর্যটকদের দেয়া খাবারের বর্জ্য যাতে হাওরে ফেলা না হয় সে জন্য মাইকিং করা হয়েছে। পর্যটকদের প্রতিটি নৌকায় বর্জ্য রাখার জন্য বস্তা দেয়া হয়েছিল। তারপরও কিছু অসচেতন ব্যক্তি পানিতে বর্জ্য ফেলে দিয়েছেন। আমরা সেই বর্জ্যগুলো লোকজন দিয়ে হাওর থেকে তোলে এনেছি। পরে এগুলো ধ্বংস করা হয়েছে। আগামীতে জোছনা উৎসবে যাতে পরিবেশ দূষণের মতো কিছু না ঘটে এ ব্যাপারে আরো সতর্ক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন তাহিরপুর সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বুরহান উদ্দিন, তাহিরপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুদাচ্ছির আলম সুবল, আওয়ামী লীগ নেতা রমেন্দ্র নারায়ণ বৈশাখ, আমিনুল ইসলাম, দৈনিক সুনামগঞ্জের ডাক পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক অধ্যক্ষ শেরগুল আহমদ, দৈনিক সুনামগঞ্জের খবর সম্পাদক ও প্রকাশক পঙ্কজ কান্তি দে, বিশিষ্ট সাংবাদিক অ্যাড. আজিজুল ইসলাম চৌধুরী, লতিফুর রহমান রাজু, মাহবুবুর রহমান পীর, মাসুম হেলাল, আল-হেলাল, বিন্দু তালুকদার, মাহতাব উদ্দিন তালুকদার, ইমরানুল হক চৌধুরী, সেলিম আহমদ প্রমুখ।