স্টাফ রিপোর্টার::
গত শুক্রবার রাতে আন্তর্জাতিক রামসার সাইট ও জীববৈচিত্র্যের অনন্য জলাভূমি টাঙ্গুয়ার হাওরে জ্যোৎ¯œা উৎসবে আসা দেশ-বিদেশের পর্যটকদের হাওরে ফেলা বর্জ্য পরিষ্কারে অভিযান চালিয়েছেন আয়োজকরা। রোববার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত দুটি নৌকা করে প্রায় ২০জনের মতো লোক জ্যোৎ¯œা উদ্যাপন এলাকা রৌয়া-রূপাভূই বিলে এই অভিযান চালান। এসময় পর্যটকদের ফেলে দেওয়া পলিথিন, বোতলসহ পরিবেশ বিধ্বংসী নানা উপকরণ সংগ্রহ করে উপজেলা সদরে এনে ধ্বংস করা হয়।
তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, টাঙ্গুয়ার হাওর ও তাহিরপুর উপজেলার অন্যান্য পর্যটন স্পটকে কেন্দ্র করে ইকোট্যুরিজম গড়ে তোলার দাবিতে গত ১৬-১৭ সেপ্টেম্বর জ্যোৎ¯œা উৎসব উদ্যাপন করা হয়।‘বিনয়ী জোছনা’র সঙ্গে ছিল ভাসমান মঞ্চে মরমি সুরের মূর্ছনা। প্রায় শতাধিক নৌকা করে দেশ-বিদেশের পর্যটকরা হাওর ঘুরে রাতে হাওরের গহীন বিল রৌয়া-রূপাভূই বিলে জ্যোৎ¯œা¯œান করেন। রাতব্যাপী হাওরে অবস্থান করার পর সকালে তারা তাহিরপুর উপজেলার নৈসর্গিক সুন্দর এলাকা সীমান্ত নদী যাদুকাটা ও বড়গোপটিলা পরিদর্শন করেন। এখানে সন্ধ্যা পর্যন্ত আদিবাসী জনগোষ্ঠী তাদের সংস্কৃতি তোলে ধরে। বিশাল এই উৎসবের ফাকে ফাকে আয়োজকরা বারবার মাইকে হাওরে বর্জ্য না ফেলার আহ্বান জানালেও কিছু কিছু অসচেতন পর্যটক তা ভ্রƒক্ষেপ করেননি।
এদিকে বিশাল পরিসরে জ্যোৎ¯œা উদ্যাপনের কারণে কিছু অসচেতন পর্যটক নৌকায় বর্জ্য ফেলার বস্তা থাকার পরও হাওরে প্লাস্টিক-পলিথিনসহ পরিবেশ ধ্বংসকারী উপকরণ ফেলে দেন বলে পরিবেশবাদীরা অভিযোগ করেন। এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে আয়োজক ও তাহিরপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রোববার সকালে দুটি নৌকাতে প্রায় ২০ জনের মতো লোক পাঠিয়ে এই বর্জ্য পরিষ্কারের ব্যবস্থা করেন। পরে এগুলো ধ্বংস করা হয়।
জ্যোৎ¯œা উৎসবের আয়োজক তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান কামরুল বলেন, উৎসবের আগে জেলা শহরে আমরা সংবাদ সম্মেলন করে পরিবেশ বিপর্যয় রোধে কি করণীয় তা আলোচনা করেছিলাম। আমরা প্রতিটি নৌকাতেই পর্যটকদের ময়লা ফেলার জন্য বস্তা রেখেছিলাম। তারপরও কিছু অসচেতন পর্যটক পলিথিন বোতল হাওরে ফেলে দিয়েছেন। পরিবেশের সুদূরপ্রসারি চিন্তা করে আমরা গতকাল (রোববার) দুটি নৌকায় প্রায় ২০জন লোক পাঠিয়ে সেগুলো উদ্ধার করে ধ্বংস করেছি। তিনি বলেন, হাওরের পরিবেশ-প্রতিবেশ রক্ষা করেই ইকুট্যুরিজম গড়ে তোলতে হবে।