হাওর ডেস্ক ::
সিলেট শিক্ষা বোর্ডের অধীনে জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষায় ফল বিপর্যয় ঘটেছে। নির্বাচনী বছরে শিক্ষামন্ত্রীর নিজ এলাকা সিলেটে পাসের হার কমার সঙ্গে জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যাও কমেছে।
এবার সিলেটে জেএসসিতে পাসের হার ৭৯ দশমিক ৮২ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ হাজার ৬৯৮ জন শিক্ষার্থী। ২০১৭ শিক্ষাবর্ষে সিলেট বোর্ডে জেএসসিতে পাসের হার ছিল ৮৯.৪১। জিপিএ-৫ পেয়েছিল ৭ হাজার ৬২১ জন।
সোমবার দুপুরে গণমাধ্যমে সিলেট শিক্ষা বোর্ডের সরবরাহ করা ফলাফল শিট থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
এবারের ফল বিপর্যয় প্রসঙ্গে সিলেট শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. কবির আহমদ বলেন, সব সূচকেই এবার শিক্ষার্থীরা গত বছরের চেয়ে ফলাফল একটু খারাপ হয়েছে। তবে এবারের পরীক্ষা পদ্ধতি বদল হওয়ায় পাসের হার ও জিপিএ-৫ কমেছে।
এবার সিলেট বিভাগে মোট ১ লাখ ১৯ হাজার ৬ জন শিক্ষার্থী পাস করেছে। ২০১৭ শিক্ষাবর্ষে পাস করা মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১ লাখ ২০ হাজার ৮৮২ জন।
ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা গেছে, সিলেটে গতবারের চেয়ে এবার পাসের হার কমেছে ৯.৫৯ শতাংশ। ২০১১ সালে জেএসসি পরীক্ষা প্রবর্তনের পর সিলেট শিক্ষা বোর্ডে এবার পাসের হার ও জিপিএ-৫ পাওয়ার দিক দিয়ে সবচেয়ে খারাপ ফল করেছে এবার।
এবার সিলেট বোর্ডে পাসের হার ৭৯.৮২ শতাংশ। ২০১৭ শিক্ষাবর্ষে জেএসসিতে পাসের হার ছিল ৮৯.৪১ শতাংশ। ২০১৬ সালে পাসের হার ছিল ৯৩.৩৭ শতাংশ। ২০১৫ সালে সিলেটে পাসের হার ছিল ৯৩.৫৯ শতাংশ। ২০১৪ সালে পাসের হার ছিল ৯১.৫৭ শতাংশ। ২০১৩ সালে পাসের হার ছিল ৯১.১৫ শতাংশ। ২০১২ সালে সিলেট বিভাগে জেএসসিতে পাসের হার ছিল ৯০.৪৫ শতাংশ।
এদিকে এবার সিলেট শিক্ষা বোর্ডে মোট ১ লাখ ১৯ হাজার ৬ জন শিক্ষার্থী পাস করেছে। ২০১৭ সালে পাস করা মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১ লাখ ২০ হাজার ৮৮২ জন। ২০১৬ সালে পাস করা মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১ লাখ ২২ হাজার ৩৪ জন। ২০১৫ সালে পাস করা মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১ লাখ ১৮ হাজার ৮৫৫ জন।
২০১৪ সালে পাস করা মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১ লাখ ২৫৫ জন ও ২০১৩ সালে ছিল ৮৬ হাজার ৮০১ জন। ২০১২ সালে পাস করা মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৮১ হাজার ৯৪৯ জন এবং ২০১১ সালে পাস করা মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৭৭ হাজার ২৩৫ জন।
এবার সিলেট বোর্ডে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ হাজার ৬৯৮ জন পরীক্ষার্থী। ২০১৭ সালে জিপিএ-৫ পেয়েছিল ৭ হাজার ৬২১ জন, ২০১৬ সালে জিপিএ-৫ পেয়েছিল ১০ হাজার ২৫৫ জন, ২০১৫ সালে জিপিএ ৫ পেয়েছিল ৪ হাজার ৯৫৬ জন, ২০১৪ সালে জিপিএ ৫ পেয়েছিল ৪ হাজার ১০ জন, ২০১৩ সালে পেয়েছিল ৫ হাজার ৭৪৮ জন এবং ২০১২ সালে জিপিএ ৫ পেয়েছিল ১ হাজার ৩৬৪ জন পরীক্ষার্থী।