বিশেষ প্রতিনিধি::
সুনামগঞ্জের সাত উপজেলার ৪৬ ইউনিয়নের হতদরিদ্রদের মধ্যে ১০ টাকা কেজিতে চাল বিক্রয় কার্যক্রম শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার জেলার বিভিন্ন এলাকায় স্থানীয় সাংসদ, আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ এবং প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ আনুষ্ঠানিকভাবে এ কার্যক্রম শুরু করেন। প্রথম দিনে ৪৬ ইউনিয়নে মোট ৯৫ মে.টন চাল বিক্রয় হয়েছে। স্বল্পমূল্যে চাল ক্রয়ে ব্যাপক সাড়া পড়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।
জানা গেছে সরকার হতদরিদ্র মানুষের খাদ্য নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে ১০ টাকা কেজিতে চাল বিক্রয়ের উদ্যোগ নেয় সরকার। জেলার ৮৭ টি ইউনিয়নের ৯১ হাজার ৬২৭ জন সুবিধাভোগী এই সুবিধা পাবেন। তবে এ পর্যন্ত সংশ্লিষ্টরা ৭১টি ইউনিয়নের ৭১ হাজার ৬১১ জন সুবিধাভোগীর তালিকা তৈরি করেছে। বাকি ১৬ ইউনিয়নের সুুবিধাভোগীর তালিকা তৈরির কাজ চলছে। তালিকাভূক্ত প্রতিটি সুবিধাভোগী ৩০ কেজি করে চাল পাবে।
গতকাল মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে ১০ টাকা কেজিতে চাল বিক্রয় কার্যক্রমে ব্যাপক সাড়া পড়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান। তবে কোথাও কোথাও ডিলারদের বিরুদ্ধে তালিকাভূক্ত হতদরিদ্রদের মধ্যে ৩০ কেজির বদলে ১৫-২০ কেজি চাল দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে গতকাল মঙ্গলবার ১০ টাকা কেজিতে চাল বিক্রয়ের জন্য খাদ্য গোদাম থেকে ৭১১ মে.টন চাল উত্তোলন করা হয়। এর মধ্যে সর্বমোট বিক্রয় হয়েছে ৯৫ টন। এখন থেকে প্রতিটি ইউনিয়নের ডিলাররা নিয়মিত তালিকাভূক্ত হত-দরিদ্রদের মধ্যে ১০টাকা কেজিতে চাল বিক্রয় করবেন। ওই সূত্র জানায় গতকাল আনুষ্ঠানিকভাবে সদর উপজেলা, দক্ষিণ সুনামগঞ্জ, ছাতক, দোয়ারাবাজার, জগন্নাথপুর, জামালগঞ্জ, ধর্মপাশা ও তাহিরপুরে এই কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক বিনয় কুমার দেব বলেন, ব্যাপক সাড়া পড়েছে এ কার্যক্রমে। আরো স্বচ্ছতার জন্য আমরা আগামীতে ৩০ কেজি পরিমাণের বস্তার মাধ্যমে এই চাল বিক্রয় করবে। তাহলে ডিলাররা নয়ছয় করার সুযোগ পাবেনা।
সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাইজার মোহাম্মদ ফারাবী বলেন, সুনামগঞ্জ সদর উপজেলায় ১০ টাকা কেজি চাল বিক্রয় কার্যক্রমে স্বতস্ফুর্তভাবে তালিকাভূক্ত ক্রেতারা সাড়া দিয়েছেন। সরকারের এই উদ্যোগটির ফলে সাধারণ মানুষ উপকৃত হবে।