উপজেলা চেয়ারম্যানসহ সুনামগঞ্জে অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মী আটক হয়েছেন বলে দাবি করেছেন বিএনপি নেতৃবৃন্দ। পুলিশ বলেছে, নাশকতার ঘটনা ঘটানোর সন্দেহে কিছু বিএনপি নেতা-কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।
আটককৃতরা হলেন, ধর্মপাশা উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান মোতালেব খান, সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সেলিম উদ্দিন ভুট্টু (৪৫), যুবদলের সহ সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন (৪০)। তাদের দুইজনকে দুপুরে শহরের ষোলঘর পয়েন্ট এলাকা থেকে ডিবি পুলিশ আটক করে।
অপরদিকে বেলা ১১ টায় লালপুর পয়েন্ট থেকে সুরমা ইউনিয়ন বিএনপির সহ সভাপতি আলিম উদ্দিন (৩৮) কে আটক করা হয়েছে।
দোয়ারাবাজার উপজেলার ভোগলাবাজার ইউপি চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা আরিফুল ইসলাম জুয়েলকে আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে এবং নাশকতা ঘটানোর আশংকায় বৃহস্পতিবার দুপুরে গ্রেপ্তার করা হয়।
সুনামগঞ্জ-৫ (ছাতক-দোয়ারা) আসনের বিএনপি দলীয় প্রার্থী বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান চৌধুরী দাবি করেছেন তাঁর ছাতক শহরের প্রধান নির্বাচনী কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার এজেন্টদের নিয়ে সভা শেষ করার পর এজেন্টরা বাইরে বের হতেই ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এরমধ্যে তাঁর বড় ভাই ব্যবসায়ী কুতুবুর রহমান, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আবু হুরায়রা ছুরুত, কালারুখা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল হক, ছাতক উপজেলা যুবদলের যুগ্মআহ্বায়ক ছদরুল আমিন, ইউপি সদস্য শফিকুল ইসলাম, ইউপি সদস্য হুসিয়ার আলী, ইউপি সদস্য কামাল হোসেন ও ফারুক আহমদ এবং তাঁর ব্যক্তিগত সহকারী ছাতক উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য তাইবুর রহমানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
জেলা গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পুলিশের ওসি কাজী মুক্তাদির আহমদ বলেন,‘একাদশ জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে নাশকতার পরিকল্পনার অভিযোগে সুনামগঞ্জ সদরে তিনজনকে আটক করা হয়েছে।’
পুলিশের আরেকটি দায়িত্বশীল সুত্র নিশ্চিত করেছে বুধবার রাত থেকে বৃহস্পতিবার বিকাল পর্যন্ত ৪২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।