স্টাফ রিপোর্টার::
উৎসবমুখর পরিবেশে প্রচারণা শেষে আজ জমজমাট ভোট উৎসবের প্রতীক্ষায় আছেন সুনামগঞ্জ জেলার ৫টি আসনের ভোটাররা। জেলার ৫টি আসনে ১৬ লাখ ৪৭ হাজার ৫১১ জন ভোটারের মধ্যে বেশিরভাগ ভোটারই ভোটপ্রয়োগ করে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেবেন এমনটা জানিয়েছেন। তবে সব আসনেই জয় চায় মহাজোট, বিএনপিও তাকিয়ে আছে ভোটারের রায়ের দিকে।
সুনামগঞ্জ-১ (তাহিরপুর-জামালগঞ্জ-ধর্মপাশা) আসনে জমজমাট প্রচারণা শেষে বিজয়ের স্বপ্ন দেখছেন আ.লীগ প্রার্থী মোয়াজ্জেম হোসেন রতন। তার সঙ্গে মাঠে প্রচারণায় পিছিয়ে থাকলেও বিএনপি প্রার্থী নজির হোসেন হাল ছাড়েননি।
সুনামগঞ্জ-২ (দিরাই-শাল্লা) আসনে ড. জয়া সেন গুপ্তাও মাঠ সরগরম করে প্রচারণা শেষ করে অনেকটা নিশ্চিন্তে আছেন। এই আসনে বিএনপি প্রার্থী নাছির উদ্দিন চৌধুরীর সঙ্গে তার ভোটযুদ্ধ হলেও তিনিই শেষমেষ পাশ করবেন এমনটা মনে করেন সচেতন ভোটাররা।
সুনামগঞ্জ-৩ (জগন্নাথপুর-দক্ষিণ সুনামগঞ্জ) আসনে আ.লীগ মনোনীত প্রার্থী অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এমএ মান্নানকে সবচেয়ে নির্ভার প্রার্থী বিবেচনা করা হচ্ছে। গত দুমাস ধরে টানা দুই উপজেলার প্রতিটি গ্রামে তিনি গিয়েছেন। এলাকার সম্মান রাখতে দার নিজ উপজেলার দলমত নির্বিশেষে সবাই বিপুল ভোটে নির্বাচিত করার অঙ্গিকার করেছেন। নৌকার ঘাটি খ্যাত জগন্নাথপুরেও জোয়ার তুলে প্রচারণা শেষ করেছিলেন মান্নান। তাছাড়া জেলায় সবচেয়ে বেশি উন্নয়ন করে দল নিরপেক্ষ মানুষের সমর্থনও তিনি আদায় করেছেন। তার সঙ্গে বিএনপি মনোনীত জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের প্রার্থী মাওলানা শাহীনুর পাশা চৌধুরীকে জেলার সচেতন মহল সবচেয়ে দুর্বল প্রার্থী বিবেচনা করছেন। নানা দুর্নীতি অনিয়মে নির্বাচনে মাঠে এবার তিনি ইমেজ সংকটে ভোগা এক প্রার্থী হিসেবে পরিচয় পেয়েছেন।
টানা দুইবার মহাজোট প্রার্থীদের কাছে পরাজিত বিএনপি প্রার্থী ফজলুল হক আছপিয়া এবারও মহাজোট প্রার্থী পীর মিসবাহর কাছে পরাজিত হবেন এমন মনে করেন তার সমর্থকরা। বিশ্বম্ভরপুর-সদর দুটি উপজেলায়ই জরিপে এগিয়ে আছেন মিসবাহ। বিএনপি মনোনীত প্রার্থী আছপিয়াও হাল ছাড়েননি।
সুনামগঞ্জ-৫ (ছাতক-দোয়ারা) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মুহিবুর রহমান মানিকককে সচেতন ভোটারা এবারও এগিয়ে রেখেছেন। তিনিও আওয়ামী লীগের শক্তিশালী প্রার্থী হিসেবে বিবেচিত। তাছাড়া এবার আওয়ামী লীগের কোন্দল নিরসন করে মানিককে বিজয়ী করতে কাজ করেছেন আ.লীগের সকল স্তরের নেতারা। তবে এই আসনে আঞ্চলিকতার ধুয়ো তুলে বিএনপি প্রার্থী মিজানুর রহমান চৌধুরীও বসে নেই। তিনিও বিজয়ের স্বপ্ন দেখছেন।