অনলাইন ডেক্স::
অভিজ্ঞতার আলোকে রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে আফগানদের হারালো বাংলাদেশি টাইগাররা। রবিবারে ম্যাচ শেষে প্রধান আলোচনার বিষয় এই ম্যাচের নায়ক কে? তামিমের স্বভাববিরুদ্ধ ৯৮ বলে ৮০, সাকিবের হতাশায় মোড়া ৪৮ এবং ২ উইকেট, দুটি ম্যজিক ওভার সহ তাসকিনের চার উইকেট কিংবা রুবেলের গতির দাপট-কোনটা ছেড়ে কোনটা বলি? রেকর্ড বুকে লেখা থাকবে সাকিব আল হাসান ম্যান অব দ্য ম্যাচ। কিন্তু নবীন কিন্তু শক্তিশালী আফগানদের বিপক্ষে টাইগারদের মূল অস্ত্র ছিল কোনটা? টিমওয়ার্ক নাকি অভিজ্ঞতা?
টিমওয়ার্ক বলতে যা বোঝায় তা বেশ ভালই ছিল। তবে কোথায় যেন মাঝেমধ্যে তাল কেটে যাচ্ছিল। সেই সুযোগটা নিয়েই প্রতি আক্রমণে সফল হতে শুরু করে আফগানিস্তান। অনেক ক্রিকেটভক্তরাই বলছেন, আফগানিস্তানের বিপক্ষে অলআউট হয়ে যাওয়াটা ঠিক মানায়নি। প্রায় বছর পরে ওয়ানডেতে ফেরা টাইগাররা আফগানদের সামনে টার্গেটটাও দিয়েছে মাঝারি মানের। বোলারদের দাপটে শেষে ম্যাচটি বাংলাদেশের হয়ে যায়। তামিম তার ৮০ রানকে তিন অঙ্কের ঘরে নিয়ে যেতে পারতেন। সাকিব পারতেন ৪৮ রানে নিজের ইনিংসটাকে থামিয়ে না দিতে। নতুন ব্যাটিং বিষ্ময় হিসেবে আবির্ভূত হওয়া সৌম্য সরকার আবারও ব্যর্থ। একেবারে ০ রানে আউট! কেন তিনি মনসংযোগ করতে পারছেন না তা নিয়ে ব্যাটিং কোচের সঙ্গে নিশ্চয়ই তার সেশন হবে। বলতে গেলে গতকালের ম্যাচটি হতে পারত ব্যক্তিগত অর্জনের জন্য আদর্শ। যাই হোক সেটা হয়নি।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নাটকীয়ভাবে নিষিদ্ধ হওয়া তরুণ স্পিডস্টার তাসকিন আহমেদ ফিরেই দেখিয়ে দিলেন তিনি কিছুটা পরিবর্তন করলেও আগের মতই ধাঁরালো তার বোলিং অ্যাকশন। অনেকদিন পর দলে ফেরা গতিদানব রুবেলের ১ উইকেটর জন্য একটু বেশি রান খরচ হয়ে গেল। সাকিবের যথারীতি অলরাউন্ড নৈপূন্য। আর দলনেতা মাশরাফি ৪২ রানে ২ উইকেট নিয়ে আবারও প্রমাণ করলেন শুধু আবেগ নয়; পারফর্মেন্সের কারণেই তিনি দলের গুরুত্বপূর্ণ একজন।
তাই নায়ক অনেককেই বানানো যেতে পারে। কিন্তু অধিকাংশ ক্রিকেটভক্তরাই মনে করছেন বাংলাদেশকে জিতিয়েছে আসলে ‘অভিজ্ঞতা’। গতকাল আফগানরা যেভাবে ম্যাচটি হেরেছে সেভাবে অসংখ্য ম্যাচ হেরেছে বাংলাদেশ-শুধু অভিজ্ঞতার অভাবে। গতবছর থেকে বদলে যাওয়া টিম মাশরাফি এখন অনেক পরিণত আর অভিজ্ঞ। তাই খাদের কিনারা থেকেও কীভাবে ম্যাচ বের করে আনতে হয় তা ভালভাবেই জানে হাথুরুসিংহের শিষ্যরা। এজন্যই আগামী দুই ম্যাচে দাপুটে বাংলাদেশকেই দেখতে চাইবে সবাই।