বিশেষ প্রতিনিধি::
মুক্তিযুদ্ধের নির্বাচিত ৪শ বই নিয়ে শ্রাবণ প্রকাশনীর মুক্তিযুদ্ধের ভ্রাম্যমাণ বইমেলার বই গাড়ি এখন দেশের উত্তরপূর্বাঞ্চলের জনপদ সুনামগঞ্জে। শুক্রবার সকালে মুক্তিযুদ্ধের বই নিয়ে জেলা শহরের পৌর মার্কেটে অবস্থান করছে গাড়িটি। তিন দিনের এই বই মেলা শেষ হবে আগামী ২১ জানুয়ারি। মুক্তিযুদ্ধের বই কিনতে বিভিন্ন প্রজন্মের পাঠক ক্রেতাদের বইগাড়ির পাশে ভিড় করতে দেখা গেছে। সংশ্লিষ্টরাও মুক্তিযুদ্ধের বইয়ের ভালো বিক্রি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন।
মুক্তিযুদ্ধের নির্বাচিত বই নিয়ে ‘ইতিহাস ধরবো তুলে বই যাবে তৃণমূলে’ প্রতিপাদ্যে দেশে প্রথম বারের মতো মুক্তিযুদ্ধের ভ্রাম্যমাণ বইমেলা শুরু করেছে শ্রাবণ প্রকাশনী। বই মেলায় শ্রাবণ প্রকাশনীসহ দেশের বিভিন্ন প্রকাশনীর মুক্তিযুদ্ধের নির্বাচিত চারশটি বই দিয়ে সজানো হয়েছে গাড়িটি। মুক্তিযুদ্ধের গল্প, উপন্যাস, গবেষণা, ইতিহাস, কবিতা, নাটক, প্রবন্ধ-নিবন্ধ, ছোটদের মুক্তিযুদ্ধের বইসহ বিভিন্ন প্রজাতির মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক ৪শটি বিভিন্ন ধরনের বই এতে স্থান পেয়েছে। একসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক বই পাওয়ার সুযোগ থাকায় মুক্তিযুদ্ধ সাহিত্যের প্রতি অনুরাগীদের এসব বই সংগ্রহ করতে দেখা গেছে।
এদিকে মুক্তিযুদ্ধের ভ্রাম্যমাণ বইমেলার খবর শুনে স্থানীয় লেখক, সংস্কৃতিকর্মীরাও জড়ো হয়েছেন। তারা পছন্দের বই সংগ্রহ করার চেষ্টা করছেন।
শুক্রবার বিকেলে কবি ও গবেষক ইককাল কাগজী, লেখক এনামুল কবির, সংস্কৃতিকর্মী অনুপ নারায়ণ তালুকদার, গল্পকার সুবল বিশ্বাস, কবি ও সাংবাদিক শামস শামীম, কবি মানবেন্দ্র করসহ স্থানীয় অনেক লেখককেই বইগাড়ি ঘিরে আড্ডা দিতে দেখা গেছে।
শুক্রবার বিকেলে মুক্তিযুদ্ধের ভ্রাম্যমাণ বই মেলার খবর পেয়ে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থেকে ছুটে এসেছেন দুই কলেজ শিক্ষার্থী বেলাল আলী ও দোলন দেবনাথ। তারা প্রকাশনীর ক্যাটালগ বই দেখে বই পছন্দ করে কেনার জন্য তালিকা করতে দেখা গেছে। দোলন দেবনাথ বলেন, এটি একটি ভালো উদ্যোগ। মুক্তিযুদ্ধের এতগুলো বই একসঙ্গে জড়ো করে সারাদেশে ভ্রাম্যমাণ বইমেলাটি প্রশংসার দাবি রাখে। নতুন প্রজন্ম এ থেকে মুুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস সন্ধানের সুযোগ পাবে। আমরাও একসঙ্গে পছন্দনীয় বই সংগ্রহের সুযোগ পেয়েছি।
শ্রাবণ প্রকাশনীর স্বত্তাধিকারী ও মেলার আয়োজক রবীন আহসান বলেন, আমরা যেখানেই যাচ্ছি ভালো সাড়া পাচ্ছি। মুক্তিযুদ্ধের বইয়ের প্রতি সাধারণ পাঠকের আগ্রহ বাড়ছে। তিনি বলেন, নতুন প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানতে চায়। আমরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই ক্যাম্পিং করে মেলা নিয়ে নেমেছি। যে সাড়া পেয়েছি আশা করি মুক্তিযুদ্ধের বইয়ের শতভাগ বিক্রি বাড়াতে পারব।