1. haornews@gmail.com : admin :
  2. editor@haor24.net : Haor 24 : Haor 24
রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫, ০৫:৫৪ পূর্বাহ্ন

বাংলাদেশে আসছে পর্যটকবাহী জাহাজ

  • আপডেট টাইম :: শুক্রবার, ১৮ জানুয়ারী, ২০১৯, ১.০৬ পিএম
  • ১৫২ বার পড়া হয়েছে

হাওর ডেস্ক::
বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে পর্যটকদের নিয়ে জাহাজ আসছে বাংলাদেশে। আগামী ২৭ জানুয়ারি আন্তর্জাতিক পর্যটকবাহী জাহাজটি খুলনার মোংলা বন্দরে নোঙ্গরের কথা রয়েছে। এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ সমুদ্রপথে আন্তর্জাতিক পর্যটন রুটে যুক্ত হচ্ছে।
তবে এর আগে ২০১৭ সালেও পরীক্ষামূলকভাবে দুই দফায় আন্তর্জাতিক পর্যটক নিয়ে জাহাজ এসেছিল বাংলাদেশে। দুই বছরের মধ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করে এখন থেকে আন্তর্জাতিক পর্যটন রুটে নিয়মিত পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংস্থা ‘সিলভার সি’ গ্রুপ। প্রতিষ্ঠানটি আন্তর্জাতিক পর্যটন রুটে জাহাজ চলাচল ব্যবসায় যুক্ত।
নৌ-বাণিজ্য দপ্তরের প্রধান কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম সারাবাংলাকে বলেন, ‘২০১৬ সালে সমুদ্রভিত্তিক দুটি রুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলের অনুমতি পাওয়া যায়। এরপর ২০১৭ সালে দুটি জাহাজ আসে। মাঝখানে বছরখানেক গ্যাপ গেছে। এবার ২৭ জানুয়ারি একটা জাহাজ আসার তথ্য আমাদের কাছে আছে। আমরা সেভাবে প্রস্তুতিও নিচ্ছি। তবে মূল কথা হচ্ছে, আন্তর্জাতিক পর্যটন রুটটা চালু হয়ে গেছে। এটা বাংলাদেশের পর্যটন খাতের জন্য একটা বড় সুসংবাদ। কারণ এর আগে কখনোই বিদেশি পর্যটক নিয়ে জাহাজ বাংলাদেশে আসেনি।’
সিলভার সি-গ্রুপের এদেশীয় এজেন্ট সেভেন সিজ শিপিং লাইন্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আলী আকবর বলেন, ‘২০১৭ সালে আমরা দুইবার জাহাজে করে বিদেশি পর্যটকদের এনেছিলাম। সমুদ্রভিত্তিক আন্তর্জাতিক পর্যটন রুটে জাহাজ চলাচলের অনুমতি পাওয়ার পর সেটা ছিল পরীক্ষামূলকভাবে প্রাথমিক প্রক্রিয়া। এখন আমরা এই রুটে নিয়মিত জাহাজ চলাচলের জন্য প্রস্তুত। আশা করি, এই ব্যবসার প্রসার ঘটবে। বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পও বিদেশে ব্যাপকতা পাবে।’
আলী আকবর জানান, পাঁচটি দেশের ১১৬ জন পর্যটক নিয়ে ২৭ জানুয়ারি ‘সিলভার ডিসকভারার’ জাহাজটি মোংলা বন্দরে নোঙ্গর করবে। মার্চের মধ্যে ৬৬ জন যাত্রী নিয়ে আরও একটি জাহাজ এসে ভিড়বে একই বন্দরে। দেশগুলো হচ্ছে- যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ব্রিটেন, অস্ট্রেলিয়া ও সুইজারল্যান্ড।
বিদেশি পর্যটকদের ভ্রমণের জন্য দেশের বিভিন্ন নৈসর্গিক স্পট ও সময় চূড়ান্ত করা হয়েছে। যে জাহাজে করে পর্যটকরা আসবেন, মোংলা বন্দর থেকে সেই জাহাজে করেই সুন্দরবনের ভেতরে নিয়ে যাওয়া হবে। ৩০ জানুয়ারি সেই জাহাজ রওনা দেবে কক্সবাজারের মহেশখালীর উদ্দেশে। সেখানে আদিনাথ মন্দির, পাহাড়, সাগরের সৌন্দর্য অবলোকন করবেন বিদেশি পর্যটকরা।
মার্চে আসা জাহাজের পর্যটকদের জন্যও একই সিডিউল অনুসরণ করা হবে বলে জানান আলী আকবর।
মোংলা সমুদ্রবন্দরে বিদেশি পর্যটকদের ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করার ব্যবস্থা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নৌবাণিজ্য দপ্তরের কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম।
শিপিং এজেন্ট চিঠি দিয়ে আমাদের জাহাজ আসার শিডিউল জানিয়েছে। চিঠিতে বিদেশি পর্যটকদের নিরাপত্তা এবং জাহাজের আনুষঙ্গিক কাজ দ্রুত সম্পন্ন করতে অনুরোধ করা হয়েছে। আমরা জাহাজটি যেখানে- যেখানে নোঙ্গর করবে এবং যেসব চ্যানেলে যাতায়াত করবে সেখানকার নিরাপত্তাটা দেব। সেই চ্যানেলে জাহাজটার চলাচলের উপযোগিতা আছে কি-না সেটাও আমরা আগে থেকে জানিয়ে দেব।’ বলেন শফিকুল ইসলাম।
আলী আকবর জানান, বিলাসবহুল জাহাজটিতে পাঁচতারকা মানের হোটেলের সব সুবিধা রয়েছে। ১২০ জন যাত্রী ধারণক্ষমতার ‘সিলভার ডিসকভারার’ জাহাজে ৯৬ জন ক্রু রয়েছেন। জাহাজে সব যাত্রীর আন্তর্জাতিক মানের বিলাসবহুল স্যুট ও কেবিনে থাকা, জাহাজের রেস্টুরেন্টে খাওয়া, একই সঙ্গে সুইমিং পুল, বারবিকিউসহ সব সুবিধা রয়েছে।
‘যেসব পর্যটক আসবেন, তারা পাঁচতারকা হোটেলে থাকা কিংবা ভালো খাওয়ার জন্য এখানে আসবেন না। তারা প্রকৃতির কাছাকাছি থাকতে চান। এজন্য সুন্দরবন ও মহেশখালী বেছে নেওয়া হয়েছে।’
জাহাজটির পানির নিচে গভীরতা কম হওয়ায় সেটি সরু চ্যানেলেও অনায়াসে প্রবেশ করতে পারে বলে জানান আলী আকবর।
সূত্র মতে, সিলভার ডিসকভারার ২৬ জানুয়ারি ভারতের চেন্নাই থেকে বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে যাত্রা করবে। বিশাখাপত্তম বন্দর, ভারতের গোপালপুর, প্যারাদ্বীপ হয়ে খুলনার মোংলা বন্দরে আসবে জাহাজটি। ‘অন অ্যারাইভল ভিসা’ নিয়ে আসা বিদেশি পর্যটকদের ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে মোংলায়।
মোংলা থেকে সুন্দরবন ভ্রমণ শেষে মহেশাখালী পৌঁছাবে। সেখান থেকে কক্সবাজারের টেকনাফ স্থলবন্দরের মাধ্যমে ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া শেষ করে বাংলাদেশ ত্যাগ করে পর্যটক নিয়ে মিয়ানমার যাবে জাহাজটি।
এর আগে ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি ও মার্চে দুই দফায় প্রথমে ৯১ এবং দ্বিতীয় দফায় ৬৬ জন পর্যটক নিয়ে বাংলাদেশে এসেছিল জাহাজটি।
আলী আকবর জানান, সেবারও পর্যটকদের সুন্দরবন থেকে কক্সবাজারের মহেশখালী নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। শিডিউলে তিন পার্বত্য জেলা ভ্রমণের কথাও ছিল। তবে ২০১৬ সালের ১ জুলাই ঢাকার হোলি আর্টিজানে নৃশংস জঙ্গি হামলার পরিপ্রেক্ষিত মাথায় রেখে সরকারের পক্ষ থেকে পার্বত্য চট্টগ্রামে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়নি। এবার পার্বত্য চট্টগ্রামে ভ্রমণের বিষয়টি শিডিউলে রাখা হয়নি।
সূত্র মতে, ২০১৭ সালে দুই দফায় আসা বিদেশি পর্যটকদের কাছ থেকে সরকার প্রায় সাড়ে ৬ লাখ টাকা রাজস্ব পেয়েছিল। এবার এর পরিমাণ আরও বাড়বে।
আলী আকবর সারাবাংলাকে বলেন, ‘রাজস্ব প্রথমবার যা পাওয়া গেছে, টাকার অঙ্কে তা খুবই সামান্য। কিন্তু যেসব পর্যটকরা বাংলাদেশের সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ হয়েছেন, তারা নিজ নিজ দেশে গিয়ে সেটা প্রচার করবেন। এভাবে বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের কথা বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়বে। এতে পর্যটন শিল্প বিকশিত হবার বিশাল সুযোগ থাকছে।’

Print Friendly, PDF & Email

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
themesbazarhaor24net
© All rights reserved © 2019-2024 haor24.net
Theme Download From ThemesBazar.Com
error: Content is protected !!