স্টাফ রিপোর্টার::
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলায় আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে রাজপথের সবচেয়ে সক্রিয় ও কর্মীবান্ধব নেতা জুবের আহমদ অপু। আওয়ামী লীগের দুঃসময়ে রাজপথে বুক চিতিয়ে দাড়ানো কারাভোগকারী, নির্যাতিত, ত্যাগী এবং সাহসী এই নেতাকে এবার উপজেলায় দলীয় প্রার্থী চান তৃণমূল নেতৃবৃন্দ। তৃণমূলের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের দোয়া, সমর্থন ও ভালোবাসা নিয়ে জুবের আহমদ অপুও প্রার্থীতা ঘোষণা করেছেন। তার পক্ষে অনলাইন-অফলাইনে দলীয় নেতাকর্মীদের প্রচারণা চালাতে দেখা যাচ্ছে।
ছাত্র লীগের রাজনীতির এই তারকা নেতা ছিলেন জেলা ছাত্র লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। টানা দশ বছর নিষ্টার সঙ্গে দলীয় দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০০১ সালে বিএনপি জামায়াত জোট সরকারের সময়ে সারাদেশের মধ্যে প্রথম অপারেশন ক্লিনহার্টে গ্রেপ্তার হয়ে কারাভোগ ও নির্যাতন সয়েছেন। শেখ হাসিনার পক্ষে সোচ্চার থাকায় এসময় জেলে নিয়ে তাকে চরম নির্যাতন করা হয়। ওয়ান ইলেভেন সরকারের সময়ে যখন সুবিদাভোগী আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনার নাম নিতে ভুলে গিয়েছিলেন সেই সময়ও রাজপথে বুক চিতিয়ে দাঁড়ান জুবের আহমদ অপু। যার ফলে তার বাসায় একাধিক দিন আর্মি ঘেরাও করে। তিনি টানা দুই বছর পালিয়ে থেকে তৃণমূলে শেখ হাসিনার পক্ষে জনমত গঠনে নীরবে কাজ করেন।
জুবের আহমদ অপু রাজনৈতিকভাবে প্রথম বারের মতো জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাৎবার্ষিকী উপলক্ষে ‘হৃদয়ে শেখ মুজিব’ নামে একটি স্মারক সংকলন প্রকাশ করেন সুনামগঞ্জ জেলায়। পরবর্তীতে এই সংকলনকে সংগঠনে রূপ দিয়ে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও সংগ্রামের পাঠ দিচ্ছেন নতুন প্রজন্মকে।
কয়েক বছর আগে সম্মেলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন জুবের আহমদ অপু। এই সময় কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ তার রাজনৈতিক বর্ণাঢ্য প্রোফাইল, নির্যাতন ও ত্যাগের ঘটনা জেনে তাকে দলের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেন। সেই দায়িত্ব পালনে তিনি সফল। সুনামগঞ্জে কেবল নামকাওয়াস্তে থাকা এই সংগঠনটি তার হাত ধরে তৃণমূলেও সংগঠিত হতে থাকে। বর্তমানে প্রতিটি উপজেলায় সচল কমিটিসহ বিভিন্ন ইউনিয়ন ও ইউনিটেও কমিটি দিয়ে রাজপথে কর্মীদের সোচ্চার রেখেছেন। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও দলীয় প্রার্থীদের পক্ষে প্রতিটি ইউনিটের নেতৃবৃন্দকে নিয়ে নিরলস কাজ করেছেন জুবের আহমদ অপু। নির্বাচনের আগে প্রতিটি ভোট কেন্দ্র কমিটি গঠন করেছিলেন সমমনা অন্যান্য সংগঠনের আগেই। যে কারণে কেন্দ্রও তার প্রতি খুশি ছিল।
রাজনৈতিক মহলের মতে বর্তমানে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগই সবচেয়ে সক্রিয় সংগঠন যারা নিয়মিত রাজপথে আওয়ামী লীগের পক্ষে কাজ করেন। জুবের আহমদ অপুর নেতৃত্বে নিয়মিত রাজপথে নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে কর্মসূচি চালানোয় তৃণমূল নেতাকর্মীরাও উজ্জীবিত। প্রতিটি সাংগঠনিক ইউনিটও তার নেতৃত্বে কর্মসূচি পালন করে নিজেদের তৃণমূলে চাঙ্গা রেখেছে।
তৃণমূল নেতাকর্মীদের দাবিতে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে চান জুবের আহমদ অপু। হাজার হাজার কর্মীদের মতো তিনিও দাবি করেন এবার দলের প্রতি আতœত্যাগ, নির্যাতন ও জুলুম সওয়ার প্রতিদান পাবেন। নৌকা প্রতীক পেলে তিনি বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়ে সদর উপজেলা কে আওয়ামী লীগের ঘাটিতে রূপান্তর করবেন এমন প্রত্যাশা করেছেন।