স্টাফ রিপোর্টার ::
দিরাই উপজেলার শ্যামারচর থেকে একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আব্দুল রশিদ (৭০) নামের এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার সন্ধ্যায় দিরাই থানা পুলিশ শ্যামারচর বাজার থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। তার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধের মামলা রয়েছে। সে ১৯৭১ সনে পেরুয়া, শ্যামারচর, উজানগাঁও গণহত্যা, অগ্নিসংযোগ ও নারী নির্যাতনের সঙ্গে যুক্ত ছিল বলে একাধিক তদন্তে প্রমাণ পেয়েছে ট্রাইব্যুনাল। উল্লেখ্য একই মামলায় গত মাসে আরো ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, ১৯৭১ সনে দিরাই-শাল্লা উপজেলার মিলনস্থল শ্যামারচর এলাকায় দালাল আব্দুল খালেকের নেতৃত্বে একটি বিশাল রাজাকার বাহিনী গড়ে ওঠেছিল। তারা হাওরাঞ্চলে লুটপাট, অগ্নিসংযোগ ও নারী-নির্যাতনের ঘটনা ঘটিয়েছিল। ১৯৭১ সনের ৬ ডিসেম্বর সংঘবদ্ধ রাজাকার দল পেরুয়া, শ্যামারচর এলাকায় গণহত্যা, অগ্নিসংযোগ, নারীনির্যাতনসহ এলাকায় অন্তত ৪০ জনকে হত্যা করেছিল। কয়েকটি গ্রামে অগ্নিসংযোগ করে তাদের বাড়িঘর জ্বালিয়ে দিয়েছিল। ওইদিন মুক্তিযোদ্ধা রজনী দাসের বাবা আখালি দাস, মামা কালিচরণ দাস ও তার মেসো কুঞ্জলাল দাসকে নৃশংসভাবে হত্যা করেছিল। এ ঘটনায় ২০১৭ সালে পেরুয়া গ্রামের মুুক্তিযোদ্ধা রজনী দাস আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ করেন। ট্রাইব্যুনাল তার অভিযোগটি আমলে নিয়ে একাধিকবার তদন্ত শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করে। গত মাসে ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। সোমবার সন্ধ্যায় মামলার অভিযুক্ত আসামি শ্যামারচর গ্রামের সুরুজ আলীর ছেলে চিহ্নিত আব্দুর রশিদকে গ্রেফতার করে দিরাই থানা পুলিশ। দিরাই থানার ওসি মোস্তফা কামাল ও শাল্লা থানার ওসি আশরাফুল ইসলামের নেতৃত্বে একদল পুলিশ তাকে শ্যামারচর বাজার থেকে গ্রেফতার করে।
দিরাই থানার ওসি মোস্তফা কামাল বলেন, গ্রেফতারকৃত আব্দুর রশিদ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল মামলার পরোয়ানাভুক্ত আসামি। তাকে ট্রাইব্যুনালের কাছে হস্তান্তর করা হবে।