স্টাফ রিপোর্টার::
সাংবাদিক নির্যাতন ও বিষোদগারকারী সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার বিতর্কিত নির্বাহী কর্মকর্তা এএইচএম আসিফ বিন ইকরামকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। আসিফ বিন ইকরামকে কর্মস্থল থেকে প্রত্যাহার করে সিলেট বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যায় সিলেট বিভাগীয় কমিশনার জামাল উদ্দিন আহমদ ইউএনও ইকরামকে কর্মস্থল থেকে প্রত্যাহার করেন। বিভাগীয় কমিশনার জামাল উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সম্প্রতি সংবাদ প্রকাশের জের ধরে স্থানীয় সাংবাদিকদের মারধর, ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান উচ্ছেদসহ নানাভাবে হয়রানি করে আসছিলেন শাল্লা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এএইচএম আসিফ বিন ইকরাম। এক পর্যায়ে তার ভয়ে এলাকা ছেড়ে জেলা শহরে পালিয়ে আসেন স্থানীয় সাংবাদিকরা। হামলা, মামলা করে হয়রানির প্রতিবাদে মানববন্ধন, প্রধানমন্ত্রী বরারবর স্মারকলিপি দেন জেলার কর্মরত সাংবাদিকরা। এসময় সাংবাদিক নির্যাতনকারী ইউএনওকে সুনামগঞ্জ থেকে প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়।
স্থানীয় সাংবদিকরা অভিযোগ করেন, নানা বিতর্কিত কর্মকান্ডের সংবাদ প্রকাশ করায় বেশ কিছু দিন ধরেই স্থানীয় সংবাদকর্মীদের উপর ক্ষুব্ধ শাল্লা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এএইচএম আসিফ বিন ইকরাম। নানা সময়ে তিনি সাংবাদিকের নিয়ে বিরূপ মন্তব্য ও তাদের দেখে নেয়ার হুমকি দেন। এর বহিঃপ্রকাশ ঘটে তার কর্মকান্ডে।
এদিকে এ ঘটনায় বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর আর ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন ইউএনও এএইচএম আসিফ বিন ইকরাম। তার ভয়ে শাল্লা উপজেলা থেকে জেলা শহরে পালিয়ে আসেন স্থানীয় অনেক সাংবাদিক। তারা জেলা সাংবাদিকদের কাছে আশ্রয় চান। পরে মঙ্গলবার জেলা শহরে মাবববন্ধন, সমাবেশ ও প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দেন সাংবাদিকরা। তারা দ্রুত আসিফ বিন ইকরামকে শাল্লা থেকে প্রত্যহারের দাবি জানান।
জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক বিজন সেন রায় ও লতিফুর রহমান রাজু বলেন, একজন সরকারি কর্মকর্তার বেপরোয়া আচরণে আমরা হতবাক হয়েছি। নানা বিতর্কিত কর্মকান্ডের সংবাদ প্রকাশ করলেই তার রোষানলে পড়তেন স্থানীয় সাংবাদিকরা। নানভাবে তাদের শায়েস্তা করার চেষ্টা করতেন ইউএনও ইকরাম। বিষয়টির সত্যতা পাওয়ায় তাকে কর্মস্থল থেকে প্রত্যাহর করা হয়েছে।
সিলেট বিভাগীয় কমিশনার মো. জামাল উদ্দিন বলেন, শাল্লার ইউএনওকে তার কর্মস্থল থেকে বদলি করে সিলেট বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে।