স্টাফ রিপোর্টার::
সুনামগঞ্জ শিল্প ও পণ্য মেলায় বিকেল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত উচ্চ শব্দে মাইকিংয়ের কারণে এসএসসি পরীক্ষার্থীরা বিপাকে পড়েছে। শব্দের কারণে পড়ায় মন বসাতে পারছেনা তারা। এ ঘটনায় অভিভাবকরা স্থানীয় কাউন্সিলরের কাছে অভিযোগ দায়েরের পর কাউন্সিলর মেলায় গিয়ে সংশ্লিষ্টদের মাইকিং বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন। একইভাবে মেলার প্রচারণামূলক মাইকিং আবাসিক এলাকার বদলে বাণিজ্যিক এলাকায় করার আহ্বান জানিয়েছেন। এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অবিভাবক ও সচেতন মহল।
এদিকে শুধু উচ্চ শব্দের মাইকিংয়ই নয় মেলায় শিশুদের আকৃষ্ট করতে নি¤œমানের পণ্য ও খেলার পসরা সাজিয়ে শিশুদের আবেগকে কাজে লাগিয়ে টাকা হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে। একটি দোলনা জাতীয় উপকরণে শিশুদের ৫ মিনিট বসিয়ে ১০০ টাকা আদায় করা হচ্ছে বলে শিশুদের অবিভাবকরা জানিয়েছেন। এছাড়াও মেলায় নি¤œমানের পণ্যে অধিক মূল্য রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ক্রেতারা। তবে চলতি এসএসসি পরীক্ষায় উচ্চ শব্দে মাইক বাজানোয় সমস্যায় পড়েছে এসএসসি পরীক্ষার্থীরা। মেলার আশপাশে অবস্থানরত এসএসসি পরীক্ষার্থীরা উচ্চ শব্দের কারণে পাঠে মন বসাতে পারছেন না। এতে তাদের পরীক্ষায় প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। উচ্চ শব্দের কারণে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের পড়ালেখা বিগ্নি হওয়ায় স্থানীয় সচেতন নাগরিকরাও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
জানা গেছে এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে স্থানীয় অবিভাবকরা স্থানীয় কাউন্সিলর হোসেন আহমদ রাসেলের কাছে অভিযোগ করেছেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে রোববার রাতে তিনি মাঠে গিয়ে উচ্চ শব্দে মাইকিংয়ের প্রমাণ পেয়ে তাদেরকে মাইকিং বন্দ করে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন। এসএসসি পরীক্ষা চলা পর্যন্ত এভাবে মাইক বন্দ করার আহ্বান জানিয়ে তিনি তাদেরকে আবাসিক এলাকায়ও মাইকিং বন্দ রাখার কথা জানিয়েছেন।
শহরের সচেতন নাগরিক মোরশেদ আলম মেলায় উচ্চ শব্দে মাইকিং বাজানোয় এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বিঘœ ঘটাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ বিষয়ে জেলা প্রশাসকের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন। তিনি পরীক্ষার্থীদের রক্ষার আকুল আহ্বান জানিয়েছেন।
হোসেন আহমদ রাসেল বলেন, আমি রোববার মেলায় গিয়ে সংশ্লিষ্টদের মাইক বন্ধ রাখার কথা জানিয়ে এসেছি। মাইক বন্ধের পাশাপাশি আবাসিক এলাকায়ও মেলার মাইকিং বন্ধ রাখার কথা বলেছি।